অনুশীলনে শুভাশিস, প্রবীর, বুমোসরা। ছবি টুইটার
এটিকে মোহনবাগান এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল, দু’দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছে। অপেক্ষা এ বার কলকাতা ডার্বির। গত বার দু’টি সাক্ষাতেই লাল-হলুদকে হারিয়েছিল সবুজ-মেরুন। এ বারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছেন এটিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা।
কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচের পর শনিবার গোটা দলকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ আন্তোনিয়ো হাবাস। রবিবার ছিল রিকভারি সেশন। সোমবার থেকে ডার্বির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রবিবার ইস্টবেঙ্গল-জামশেদপুর ম্যাচের দিকে কড়া নজর ছিল এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারদের। লাল-হলুদের শক্তি দুর্বলতা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁরা।
অতীতে এই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রীতম কোটাল এবং শুভাশিস বসুর। প্রীতম বলছিলেন, “বাংলার ফুটবলার হিসেবে এই ম্যাচ সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বহু ডার্বি খেলেছি আগে। জানি সমর্থকরা কতটা মুখিয়ে থাকেন এই ম্যাচের জন্য। এ বার আমাদের খেলায় বদল এসেছে। পিছন থেকে আক্রমণ করছি। আক্রমণই এ বার আমাদের মূলমন্ত্র। এক গোলের পাল্টা চার গোল করতে পারি আমরা। ডিফেন্স নিয়ে কোনও চিন্তা নেই। কেরল ম্যাচে যে ভুল করেছি তা ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে হবে না।”
ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ দেখে কী বুঝলেন? প্রীতমের জবাব, “ওদের দু’তিনটে ভাল বিদেশি রয়েছে। পেরোসেভিচ অত্যন্ত দক্ষ। ড্র হলেও ওরা খারাপ খেলেনি। তবে আমরা জিততেই নামব।” শুভাশিস বললেন, “ডার্বির উত্তেজনা ইতিমধ্যেই ভেতরে এসে গিয়েছে। তবে আবেগকে কখনওই প্রাধান্য দিই না। আমার কাছে এটা স্রেফ আর একটা ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গল আগের ম্যাচে ভালই খেলেছে। দেখেছি ওরা কোনদিক দিয়ে আক্রমণ করে। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।”
লিস্টন কোলাসো আগে কোনওদিন ডার্বি খেলেননি। তিনি বললেন, “ছোটবেলা থেকেই এই ম্যাচের কথা শুনেছি। যদি কোচ আমাকে দলে রাখেন, তাহলে জান লড়িয়ে দেব।”