সুনীল ছেত্রী। —ফাইল চিত্র।
এশিয়ান গেমসে সুনীল ছেত্রীদের অংশগ্রহণ-ই একটা সময় পর্যন্ত অনিশ্চিত ছিল। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের অনুমতি পাওয়ার পরেও প্রস্তুতি নিতে পারেননি সুনীল ছেত্রীরা। এক দিনও অনুশীলন না করেই প্রথম ম্যাচের আগের দিন হ্যাংজ়ু পৌঁছায় ইগর স্টিমাচের দল। এ ভাবে প্রতিযোগিতা খেলতে যাওয়ায় খুশি নন ভারতীয় দলের অধিনায়ক।
গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় হয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছেছে ভারতীয় দল। পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ এশীয় ফুটবলের অন্যতম শক্তি সৌদি আরব। ক্লাবগুলি ফুটবলারদের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় প্রস্তুতি শিবির করতে পারেনি ভারত। তবু দলের পারফরম্যান্সে সুনীল খুশি। প্রস্তুতির অভাব নিয়ে অবশ্য ক্ষোভ বা হতাশা গোপন করেননি। সুনীল বলেছেন, ‘‘দলগত সংহতি ঠিক মতো তৈরি না হলে ভাল কিছু করা সত্যিই কঠিন। আমাদের প্রস্তুতির অভাব ছিল। কাদের দলে পাওয়া যাবে, সেটাই প্রায় শেষ পর্যন্ত জানতাম না আমরা। এক সঙ্গে খেলা তো দূরের কথা সবাই মিলে এক বেলা অনুশীলনও করিনি। তার পরে পাঁচ দিনে তিনটি ম্যাচ খেলা সহজ নয়। দলের সঙ্গে এক জন ম্যাসিয়োর পর্যন্ত নেই আমাদের।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা করছি না। যেটা ঘটনা সেটাই বলছি। একটাই ভাল ব্যাপার, এখানে আমরা সবাই এক হয়ে চেষ্টা করছি। সেই চেষ্টার ফলেই আমরা নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি।’’
সুনীলের মতোই অখুশি দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য সন্দেশ জিঙ্ঘন। তিনি বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে আমরা কিছুই করার সময় পাইনি। এখানে আমরা অত্যন্ত সাধারণ ফুটবল খেলার চেষ্টা করছি। দলের বৈঠকেও সবাইকে নিজেদের স্বাভাবিক খেলার কথা বলা হয়েছে। ফুটবলের প্রাথমিক বিষয়গুলি ঠিক ভাবে করার চেষ্টা করছি। আমরা অতিরিক্ত কিছু করার চেষ্টা করছি না।’’ তাঁর দাবি, গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত ভারতীয় দলের সদস্যেরা ঠিক মতো ঘুমানোর সুযোগও পাননি। ক্লান্ত শরীরেই পর পর তিনটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে তাঁদের। গোটা পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ তিনি।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ক্লাবগুলি নিজেদের স্বার্থে জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়তে রাজি না হওয়ায় তৈরি হয়েছিল সমস্যা। কোচ স্টিমাচ দলে যাঁদের চেয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশকেই পাননি। স্টিমাচের অভিযোগ, এশিয়ান গেমসের জন্য তৃতীয় সারির দলও হাতে পাননি তিনি। তবে জুনিয়র ফুটবলারদের চেষ্টা দেখে খুশি তাঁরা।