লক্ষ্য: লাল-হলুদেও নিজেকে প্রমাণ করতে চান অরিন্দম। ছবি টুইটার।
গত মরসুমে আইএসএলের সেরা গোলরক্ষক হয়ে সোনার গ্লাভস জিতেছিলেন তিনি। এটিকে-মোহনবাগানের ফাইনালে ওঠার নেপথ্যেও অন্যতম কারিগর ছিলেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। শিবির বদলে এ বার তিনি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন। অধিনায়কও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস সম্প্রতি অধিনায়ক হিসাবে নাম ঘোষণার পরে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন অরিন্দমের। আপ্লুত বঙ্গ গোলরক্ষক বললেন, ‘‘যে কোনও দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পাওয়া গর্বের। এসসি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছি বলে আমি ও আমার পরিবারের সকলেই গর্বিত।’’ যোগ করেছেন, ‘‘অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা আমাদের দলের একাধিক ফুটবলারের রয়েছে। আমি সৌভাগ্যবান, শেষ পর্যন্ত আমিই সেই দায়িত্ব পেলাম।’’
লাল-হলুদের অধিনায়ক যে তিনি হতে পারেন, তা কখনও কল্পনা করেননি অরিন্দম। খোলাখুলি বললেন, ‘‘আমি কখনওই অধিনায়ক বা দলে বিশেষ ফুটবলারের মর্যাদা পাওয়ার কথা ভাবি না। অধিনায়কের আর্মব্যান্ডের প্রয়োজনও নেই। যখন যে দলে খেলি, সেখানে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করি।’’
সবুজ-মেরুনের হয়ে গত মরসুমে আইএসএলে ২৩টি ম্যাচে ৫৯টি গোল বাঁচিয়েছেন অরিন্দম। গোল খেয়েছেন ১৯টি। একটিও গোল না খেয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন ১০টি। এ বার লাল-হলুদের অন্যতম ভরসা তিনি। সমর্থকদের প্রত্যাশাকে অবশ্য বাড়তি চাপ বলে মনে করছেন না অরিন্দম। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। এ রকম ঐতিহ্যশালী ক্লাবের সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবেই। আমি তা উপভোগই করি। আমরা এটাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছি।’’
অষ্টম আইএসএলে লাল-হলুদের প্রথম ম্যাচ জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ২১ নভেম্বর। দল কতটা তৈরি? অরিন্দম বললেন, ‘‘আমরা তৈরি। যে কোনও প্রতিযোগিতায় শুরুটা ভাল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলের সকলেই মুখিয়ে রয়েছে সাফল্য পাওয়ার জন্য। আমাদের কোচও অসাধারণ।’’ এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেও সবুজ-মেরুনের গোলরক্ষক কোচ অ্যাঙ্খেল পিনাদাদোর অবদান ভোলেননি অরিন্দম। বললেন, ‘‘অ্যাঙ্খেলই আমাকে বদলে দিয়েছেন। ওঁর অবদান কখনও ভুলব না।’’