শুশ্রূষা: মানের চোট পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকেরা। ছবি রয়টার্স।
আফ্রিকা কাপ অব নেশনস
সেনেগাল ২ কেপ ভার্দে ০
আফ্রিকা কাপ অফ নেশনসের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল সাদিয়ো মানেদের সেনেগাল। মঙ্গলবার ন’জনের কেপ ভার্দেকে ২-০ হারিয়ে। গোল করার আগেই কিন্তু লিভারপুলের ফরোয়ার্ড মানে বিপক্ষ গোলরক্ষক ভোজ়িনহার সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন!
খেলার ৫৩ মিনিটে সেনেগালের গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডির শূন্যে ভাসানো উঁচু একটা বলের নাগাল পেতে মানে লাফিয়েছিলেন। তখনই দু’জনের মাথায় সংঘর্ষটা হয়। এমনিতে মানে আগেই সে বলে হেড করার পরেও ফাউল করায় ভোজ়িনহাকেই লাল কার্ড দেখান রেফারি। তবে কার্ড বার করার আগে ভিডিয়োয় অনেকক্ষণ তিনি দেখে নেন, ঠিক কী হয়েছিল। প্রথমার্ধেও কেপ ভার্দের একজন লাল কার্ড দেখেছিলেন।
ভোজ়িনহাকে স্ট্রেচারে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে হয়। একটি সূত্রের খবর, তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। রেফারি অবশ্য মানের খেলা চালিয়ে যাওয়ায় আপত্তি করেননি। এমনকি ৬৩ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে তিনি ১-০ এগিয়ে দেন দলকে।
এ ক্ষেত্রেও গোলের আগে ফাউল হয়েছিল কি না, তা দেখতে রেফারি অনেকক্ষণ ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্য নেন। আর গোলের উৎসব করার সময়ই মানেকে দেখা যায় মাঠে শুয়ে পড়তে। সেনেগাল কোচ ঝুঁকি নেননি। খেলা শুরু হওয়ার আগেই মানেকে তুলে নেন। দ্বিতীয়ার্ধের সংযুক্ত সময় বাম্বা দিয়েংয়ের তৎপরতায় আরও একটা গোল করে সেনেগাল।
মঙ্গলবার অন্য একটি ম্যাচে মালাউইকে ২-১ হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে মরোক্কোও। মানের চোট পাওয়া নিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। আয়োজক আফ্রিকা মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা পড়েছে প্রশ্নের মুখে। বলা হচ্ছে, এই ধরনের মাথায় আঘাত পাওয়ার ঘটনার পরেও কেন আহত ফুটবলারকে সঙ্গে সঙ্গে তুলে নেওয়ার বাধ্যতামূলক নিয়ম থাকবে না? কেন ৫৩ মিনিটে সংঘর্ষের ঘটনার পরেও মানেকে খেলতে দেওয়া হল?