হতাশ এটিকে-মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। —ফাইল চিত্র
এএফসি কাপে শেষ এটিকে মোহনবাগানের লড়াই। এএফসি কাপের আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে কুয়ালা লামপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ১-৩ গোলে হেরে গেল সবুজ-মেরুন।
প্রথমার্ধে দুই দলই গোল দিতে পারেনি। বল দখলের লড়াইয়ে এটিকে মোহনবাগান এগিয়ে থাকলেও সে ভাবে বেগ দিতে পারছিল না। বিপক্ষের অর্ধে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা। মনবীর সিংহরা কিছুতেই গোলের মুখ খুলতে পারছিলেন না। দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়াতে থাকে এটিকে মোহনবাগান। একাধিক সুযোগ তৈরি করতে শুরু করে তারা। কিন্তু গোল করে এগিয়ে যায় কুয়ালা লামপুর সিটি। ৬০ মিনিটের মাথায় গোল করেন পাউলো জোসু। খেলার গতির উল্টো দিকে গোল করে যান তিনি। দূরপাল্লার শটে গোল করেন জোসু।
প্রীতম কোটালের পরিবর্তে আশিস রাইকে মাঠে আনেন ফেরান্দো। বসিয়ে দেন ব্রেন্ডন হামিলকে। তাঁর বদলে মাঠে আসেন তরুণ ফার্দিন আলি মোল্লা। বাগানের হয়ে এক মাত্র গোলটি করেন তিনিই। ৯০ মিনিটের মাথায় গোল শোধ করেছিলেন ফার্দিন। যুবভারতী চিৎকার করে উঠল। কিন্তু সেই চিৎকারের রেশ কাটার আগেই গোল খেয়ে গেল মোহনবাগান। একটি নয় দু’টি। রক্ষণকে খুঁজেই পাওয়া গেল না সেই সময়। ৯২ মিনিটের মাথায় জোসুর ক্রস থেকে হেডে গোল করলেন মুহাম্মদ ফাকরুল। সেই সময় রক্ষণের কোনও ফুটবলার তাঁর কাছে পৌঁছতেই পারলেন না।
৯৫ মিনিটের মাথায় ফের গোল। ফ্লোরেনতিন পোগবার ভুলে বল পেয়ে যান কুয়ালা লামপুর সিটির রোমেল মোরালেস। ঠান্ডা মাথায় মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইতের হাতের নাগাল এড়িয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেন তাঁরা। এএফসি কাপের নক আউট পর্ব থেকে হেরে বিদায় নিল এটিকে মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপের পর আরও একটি প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিল ফেরান্দোর দল। সহজ প্রতিপক্ষ পেয়েও হারতে হল তাদের। অনেক আশা নিয়ে যুবভারতীতে আসা সবুজ-মেরুন সমর্থকদের বিদায় নিতে হল একরাশ মন খারাপ নিয়ে।