বার বার আটকে গেলেন নন্দকুমার। ছবি: ইস্টবেঙ্গল।
রবিবার যুবভারতীতে ১-৩ গোলে হারতে হল ইস্টবেঙ্গলকে। গত ডার্বিতে ড্র করেছিল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। কিন্তু এ বারের ডার্বিতে প্রথমার্ধেই ০-৩ গোলে পিছিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে চেষ্টা করলেও তিন গোল শোধ করা সম্ভব হয়নি।
ক্লেটন সিলভা: ১৩ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি মিস করেন ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ক্লেটন। কলকাতা ডার্বিতে এমন সুযোগ ফস্কালে বিপক্ষ চেপে বসবেই। শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন ক্লেটন। ইস্টবেঙ্গলের হারের নেপথ্যে এই পেনাল্টি ফস্কানো বড় কারণ। গোটা ম্যাচে গোল করার সুযোগও পাননি আর তিনি। তবে সাউল ক্রেস্পোকে দিয়ে গোল করান দ্বিতীয়ার্ধে। তবুও এই হারের নেপথ্যে বড় কারণ হয়ে রইল ক্লেটনের পেনাল্টি থেকে গোল করতে না পারা।
হিজাজি মাহের: প্রথমার্ধে তিন গোল খেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। লিস্টন কোলাসোর গোলের সময় লাল-হলুদ ডিফেন্ডারেরা ভুলেই গিয়েছিলেন যে রক্ষণভাগের দায়িত্ব রয়েছে তাঁদের কাঁধে। হিজাজি মাহেরের মতো ফুটবলারদের ভুলে গোল করার সুযোগ তৈরি করে মোহনবাগান। গোলও করে। তাই হারের আরও এক কারণ ইস্টবেঙ্গলের বিদেশি ডিফেন্ডার হিজাজি।
নন্দকুমার: ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ ভাগের ফুটবলার শুরু থেকেই ছন্নছাড়া ফুটবল খেললেন। তিনি বল পেলেন গোলের দিকে গেলেন, কিন্তু মোহনবাগানের রক্ষণ ভেদ করতে পারলেন না। বার বার একই ভাবে খেলতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলেন। কোনও বৈচিত্র দেখা গেল না তাঁর খেলায়।