এ বারের বিশ্বকাপ হবে কাতারে। —ফাইল চিত্র
কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই ১২ লক্ষ টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বাকি রয়েছে আর আট লক্ষ টিকিট। বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি যত বাড়ছে, তত চিন্তাও বাড়ছে উদ্যোক্তাদের। কারণ, বিশাল সংখ্যক মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা কতটা সম্ভব হবে, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়।
কাতার অর্থনৈতিক ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে টিকিট বিক্রির সংখ্যা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল টিকিটের চাহিদা আকাশছোঁয়া। অনলাইনে এখনও পর্যন্ত দু’ভাগে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। মোট ২০ লক্ষ টিকিট বিক্রি করা হবে। আরও ১০ লক্ষ টিকিট থাকবে ফিফার বিভিন্ন কর্তা এবং স্পনসরদের জন্য। দোহাতে জনসংখ্যা ২৪ লক্ষ। বিশ্বকাপের সময় বিশাল সংখ্যক মানুষ সেখানে উপস্থিত হবেন খেলা দেখার জন্য। এত মানুষের জায়গা হওয়া নিয়ে চিন্তা রয়েছে। আটটি স্টেডিয়ামে ৩২টি দেশ খেলবে। শহরের আশেপাশেই রয়েছে সেই সব স্টেডিয়াম।
কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এক লক্ষ ৩০ হাজার ঘর ফাঁকা রাখা হবে বিভিন্ন হোটেলে। থাকবে এক হাজারটি তাঁবু। ঘর ভাড়াও পাওয়া যাবে সেই সময়। জায়গা কম থাকার কারণে শুধু মাত্র বিশ্বকাপের টিকিট থাকলে তবেই সেই সময় কাতারে প্রবেশ করা যাবে। পাশের দেশ থেকে কাতারে মানুষ খেলা দেখতে আসতে পারে। সেই কারণে ১৬০টি বিমান তৈরি রাখা হবে। দোহার দু’টি বিমানবন্দরকে তৈরি রাখা হবে সেই কারণে।
এত মানুষ কাতারে এলেও তাঁদের সে দেশের সংস্কৃতি মানার জন্য বলেছেন আয়োজক হাসান আল-থাওয়াড়ি। তিনি বলেন, “সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা। যে দেশ থেকে মানুষ আসছেন, সেই দেশের সংস্কৃতিকে সম্মান জানাচ্ছি। আমাদের দেশের সংস্কৃতিকেও সম্মান করার অনুরোধ করছি।”
কাতারে সমকামী প্রেম নিষিদ্ধ। সেই কারণে আয়োজকরা চিন্তায় রয়েছেন সমকামী সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।