হতাশা: বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল ইডেনে বাংলা-গুজরাত প্রথম দিনের ম্যাচ। উদ্বেগ পার্থিব, অরুণ লালের। সুদীপ্ত ভৌমিক
বৃষ্টিতে ধুয়ে গেল রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা বনাম গুজরাতের প্রথম দিনের ম্যাচ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল কলকাতায়। তাই এ দিন নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে আটটায় খেলা শুরু হয়নি। তবে সকাল ন’টা নাগাদ হঠাৎ রোদ ওঠায়, খেলা শুরু হওয়ার একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। জোড়া সুপার সপার নামিয়ে ভেজা আউটফিল্ড শুকোনোর প্রক্রিয়া শুরুও করেছিলেন ইডেনের মাঠকর্মীরা। কিন্তু বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ ফের বৃষ্টি নামলে সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন আম্পায়াররা।
বৃষ্টিতে প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে যাওয়ায় চিন্তিত বাংলা শিবির। কোচ অরুণ লাল বলে যান, ‘‘আমাদের চাপ বাড়ল। কিন্তু হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে কী করা যাবে!’’ শনিবারেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে দ্বিতীয় দিনেও নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। দুই ম্যাচে বাংলার পয়েন্ট ৯। অন্য দিকে দুই ম্যাচে গুজরাতের পয়েন্ট ১২। দ্বিতীয় দিনেও যদি খেলা ফের ভেস্তে গেলে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার ভিত্তিতে জয়-পরাজয় নিষ্পত্তি হতে পারে।
এ দিকে, আগামী সপ্তাহেই ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে নিউজ়িল্যান্ড সফরে চলে যাবেন ঈশান পোড়েল। অশোক ডিন্ডাও কবে দলে ফিরবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলা শিবির ঘূর্ণি উইকেটে খেলার পরিকল্পনা করছে। ঘরের মাঠে বাংলার পরবর্তী ম্যাচ ১৯-২২ জানুয়ারি। প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ। সেই ম্যাচ কল্যাণীতে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। বাংলার কোচও বলছেন, ‘‘ইডেনের গতিময় উইকেট এই মুহূর্তে বদলে ফেলা কঠিন। ঈশান্ত চলে গেলে স্পিন সহায়ক উইকেটে খেলার পরিকল্পনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ম্যাচ সরতে পারে কল্যাণীতে।’’
বিতর্কে শুভমন: ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার শুভমন গিল শুক্রবার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে বিতর্কে জড়ালেন। দিল্লির বিরুদ্ধে পঞ্জাবের হয়ে নামা শুভমন আউট হওয়ার পরে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান। পরে আম্পায়ার তাঁর সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন। এই ঘটনায় ১০ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা।
শুভমন বোলার সুবোধ ভাটির বলে কটবিহাইন্ড হয়েও মাঠ ছাড়তে চাননি। এই ঘটনার জন্য ম্যাচ রেফারি পি রঙ্গনাথন তাঁর সঙ্গে কথাও বলতে পারেন। হয়তো তাঁকে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হবে বা লেভেল ওয়ান অপরাধ হিসেবে ধরা হবে তাঁর এই আচরণ। এই ঘটনার সময় ১০ রানে ব্যাট করছিলেন শুভমন। শেষ পর্যন্ত সিমরনজিৎ সিংহের বলে অনুজ রাওয়াতের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হন ২৩ রান করে। দিল্লি ম্যানেজার বিবেক খুরানা পরে সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘‘আমাদের সহ-অধিনায়ক নীতীশ রানা আম্পায়ারের কাছে জানতে চেয়েছিল কেন তিনি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিলেন। আমরা মাঠ ছাড়িনি।’’ দিনের শেষে পঞ্জাবের স্কোর ২৬৬-৮। ৮১ রান মনদীপ সিংহের।
সূর্যকুমারের লড়াই: গ্রুপ ‘বি’-তে কর্নাটকের বিরুদ্ধে মুম্বই ১৯৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছে। সূর্যকুমার যাদব ৭৭। তিন উইকেট ভি কৌশিকের। জবাবে ব্যাট করতে নেমে কর্নাটকের রান ৭৯-৩।