বিশ্বকাপ ফাইনালে গোলের বন্যা। ফাইনালে বেশি গোল করার ধারা বজায় রাখল ফ্রান্স। ১৯৯৮ সালেও ফাইনালে ৩ গোল দিয়ে বিশ্বকাপ নিয়েছিল ফ্রান্স। এবারও চার গোল করে বিশ্বকাপ মাতাল ফ্রান্স।
বিশ্বকাপ ফাইনালে হাফ ডজন গোল। শেষ বার হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। ৪-২ গোলে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৫৮ সালে ১৮ বছর বয়সী পেলের জোড়া গোলে সুইডেনকে ৫-২ ফলাফলে হারিয়েছিল ব্রাজিল।
ফাইনালের ৬ গোলের প্রথমটিই আত্মঘাতী। গোল আটকাতে গিয়ে ১৮ মিনিটের মাথায় নিজের গোলে বল জড়ান ক্রোয়েশিয়ার মারিও মাঞ্জুকিচ। এক গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া।
দশ মিনিট পরেই ম্যাচের দ্বিতীয় গোল। ২৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে দুরন্ত শটে গোল করে ম্যাচের সমতা পেরান ক্রোয়েশিয়ার পেরিসিচ।
তৃতীয় গোলেও ক্রোয়েশিয়ার অবদানই বেশি। হ্যান্ডবল করার অপরাধে পেনাল্টি দেন রেফারি। বারবার দেখার পর ‘ভার’-র সাহায্যে সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।
পেনাল্টি মিস করেনি ফ্রান্স। ৩৮ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন গ্রিজম্যান।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের চার নম্বর গোল। ৬৪ মিনিটে দুরন্ত শটে গোল করে ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন পোগবা।
তিন মিনিট পরই ম্যাচের ৬৭ মিনিটে দলের হয়ে চার নম্বর গোলটি করেন এমবাপে। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে জালে বল জড়িয়ে দেন ১৯ বছরের এমবাপে।
৬৯ মিনিটে ম্যাচের ৬ নম্বর গোল। মাঞ্জুকিচ ক্রোয়েশিয়ার হয়ে করেন দ্বিতীয় গোল। ম্যাচের ফল দাঁড়ায় ৪-২।
সবথেকে বেশি গোল হয় ১৯৫৮-র বিশ্বকাপ ফাইনালে। সুইডেনকে ৫-২ গোলে হারায় ব্রাজিল। দুটি করে গোল করেছিলেন পেলে ও ভাভা।