প্রথম গোলের পর উচ্ছ্বাস নেমারের।
জার্মানি, আর্জেন্টিনা, স্পেনের বিদায়ে অঘটনের আশঙ্কা থেকেই গিয়েছিল। সামারা এরিনায় ব্রাজিল অবশ্য যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে পৌঁছল কোয়ার্টার ফাইনালে। সোমবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ২-০ গোলে হারাল মেক্সিকোকে। নেমার একটা গোল করলেন, একটা করালেন।
প্রথমার্ধে অবশ্য দাপটে শুরু করেছিল মেক্সিকোই। কোনও গোল না হলেও ব্রাজিল রক্ষণেই অধিকাংশ সময় ঘোরাফেরা করছিল বল। একের পর এক আক্রমণ ব্রাজিলের বক্সে তুলে আনছিল মেক্সিকো। কিন্তু, কাজের কাজ হয়নি।
ব্রাজিলের দুটো গোলই বিরতির পর। তখনই চেনা মেজাজে ফিরল হলুদ জার্সিধারীরা। ক্রমাগত আক্রমণে শিল্পের ফুল ফোটালো সেলেকাও-রা। ৫১ মিনিটে প্রথম গোল করলেন নেমার। উইলিয়ানের সঙ্গে বোঝাপড়ায় গোল করলেন তিনি। ৮৮ মিনিটে এল দ্বিতীয় গোল। বাঁ-দিক থেকে উঠে আসা আসা নেমার মেক্সিকো গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল সাজিয়ে দিলেন ফিরিমিনোকে। বল জালে ঠেলতে ভুল করেননি তিনি।
দ্বিতীয় গোলের পর সতীর্থদের সঙ্গে মাতোয়ারা ফিরিমিনো।
এই ম্যাচের আগেই চুলের রং ফের পালটেছেন নেমার। দেখা গেল, তা কাজে এসেছে। বিশ্বকাপে দুই গোল করে ফেললেন তিনি। সঙ্গে এক অ্যাসিস্ট। এই বিশ্বকাপ নেমারের হতেই পারে। অন্তত। যে ভাবে চোট সারিয়ে ফিরে ক্রমশ ছন্দে আসছেন, ভক্তদের প্রত্যাশা বাড়তে বাধ্য।
আরও পড়ুন:
সাম্বার অপেক্ষায় ফুটবলবিশ্ব, মেক্সিকোর ভরসা কাউন্টার অ্যাটাক
রূপকথা রুশদের, মেসি-রোনাল্ডোর পর বিদায় ইনিয়েস্তাদের
পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল গোলসংখ্যা আরও বাড়াতে পারত। কিন্তু তা না হলেও এই জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াল তিতের দলের। এই জয়ের পরে ব্রাজিলকে আরও জোরালো ভাবে ফেভারিট দেখাচ্ছে। বিশ্বকাপ অভিযানের শুরুতেই ড্রয়ের পর টানা তিন ম্যাচ জিতল সাম্বার দেশ। অন্যদিকে, আরও একবার দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিল মেক্সিকো।
ছবি: রয়টার্স।