সাম্বার জাদু না পাওয়ায় হতাশার সুর

অনূর্ধ্ব ১৭ যুব বিশ্বকাপ যে যে শহরে হবে তাদের সবাইকে নানা ব্যাপারে টেক্কা দেওয়ার পরও ফুটবল পাগল শহরের মানুষের মন খারাপ। শুক্রবার রাতে মুম্বইতে বিশ্বকাপের ড্র-র পর কলকাতার গ্রুপ বিন্যাস দেখে রকের আড্ডা থেকে ময়দান সর্বত্রই আফশোস আর হতাশা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫৩
Share:

ব্রাজিল, স্পেন, জার্মানি, নিদেন পক্ষে ফ্রান্সেরও খেলা পড়েনি কলকাতায়!

অনলাইনে বিক্রি শুরু হওয়ার দু’ঘন্টার মধ্যেই শেষ হয়েছে সব টিকিট।

Advertisement

ভারতের যে ছটি স্টেডিয়ামে খেলা হবে তার মধ্যে সবথেকে বেশি আসন যুবভারতীতে। ৮৫ হাজার।

ফিফার প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই সেরা স্টেডিয়ামের সার্টিফিকেটও দিয়ে ফেলেছেন কলকাতাকে।

Advertisement

অনূর্ধ্ব ১৭ যুব বিশ্বকাপ যে যে শহরে হবে তাদের সবাইকে নানা ব্যাপারে টেক্কা দেওয়ার পরও ফুটবল পাগল শহরের মানুষের মন খারাপ। শুক্রবার রাতে মুম্বইতে বিশ্বকাপের ড্র-র পর কলকাতার গ্রুপ বিন্যাস দেখে রকের আড্ডা থেকে ময়দান সর্বত্রই আফশোস আর হতাশা। এটা ভেবে যে, ব্রাজিল, স্পেন, জার্মানি, নিদেন পক্ষে ফ্রান্সেরও খেলা পড়েনি কলকাতায়!

যুবভারতীতে ইরাক, মেক্সিকো, চিলি এবং ইংল্যান্ডের গ্রুপ লিগের খেলা পড়েছে। জাপানের একটা খেলাও রয়েছে। কিন্তু এই দেশগুলি সেই অর্থে কেউই এখন বিশ্ব ফুটবলের সেরা শক্তিধরের তালিকায় পড়ে না। ছোট নেইমার, ভবিষ্যতের মুলার বা ছোট ইনিয়েস্তাদের তাই দেখতে পাবে না কলকাতা। যদিও ফেডারেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত হিসাব করে দাবি করছেন, সব ঠিকঠাক চললে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল বা স্পেন খেলবে কলকাতায়। তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচ বা ফাইনালে দেখা যেতে পারে জার্মানিকে। কিন্তু এ সবই যদি বা কিন্তুর গল্প। আপাতত যা দেখা যাচ্ছে তাতে গ্রুপ লিগে কলকাতার প্রত্যাশিত প্রিয় টিমগুলোর একটিও নেই ফুটবলের মক্কায়। অথচ যে নিয়মে ড্র হয়েছে তাতে কলকাতার ভাগ্য ভাল থাকলে ব্রাজিল, স্পেন, জার্মানির নাম উঠতেই পারত। ড্র-এর পর দেখা যাচ্ছে ব্রাজিল ও স্পেনের খেলা পড়েছে কোচিতে। যেখানকার স্টেডিয়াম নিয়েই সবথেকে বেশি সমস্যা। আর জার্মানির খেলা যেখানে পড়েছে সেই গোয়াতে টিকিট বিক্রি সবথেকে কম।

জীবদ্দশায় দেশে বিশ্বকাপ দেখবেন স্বপ্নেও ভাবেননি কিংবদন্তী ফুটবলার চুনী গোস্বামী। আফশোসের সঙ্গে বলছিলেন, ‘‘বিশ্ব ফুটবলের সেরা শক্তি বলে যাদের মনে করি তাদের বিশ্বকাপ দলকে স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পেলে বেশি আনন্দ পেতাম স্বীকার করছি। কিন্তু কিছু তো করার নেই। মেক্সিকো বা চিলিকে হয়তো দেখতে যাব’’

আর সুব্রত ভট্টাচার্যের মন্তব্য, ‘‘ড্র-এর পর গ্রুপ দেখে ইচ্ছা পূরণ হয় নি। আরে এখানেই তো দেখা যায় তাদের, যারা পরের চার বা পাঁচ বছরে নেইমার বা মুলার হবে। সেটাই দেখা হবে না মাঠে বসে।’’

শুধু প্রাক্তনরা নন, বর্তমানের মেহতাব হোসেন বা অর্ণব মণ্ডলের গলাতেও আফশোস। দেশের দুই সেরা ফুটবলারই জার্মানি এবং স্পেনের কট্টর সমর্থক। এ দিনই ইস্টবেঙ্গলের এ বারের অধিনায়ক অর্ণব টিকিট কেটেছেন মেক্সিকো বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের। বলছিলেন, ‘‘কী করব? দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। ভেবেছিলাম জার্মানি বা স্পেনের অনুশীলন দেখব দাঁড়িয়ে থেকে। ওঁরা কীভাবে ম্যাচের আগে তৈরি হয় সেটাও দেখার ইচ্ছে ছিল অনুশীলনে গিয়ে।’’ আর ভারতীয় ফুটবলের মাঝমাঠের জেনারেল মেহতাব হোসেনের মন্তব্য, ‘‘জার্মানি কীভাবে বিশ্ব ফুটবলের সেরা শক্তি হয়ে উঠেছে সেটাই তো মাঠে বসে দেখতে পাব না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement