বিধ্বংসী যুবরাজ।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তিনি প্রথম এগারোয় জায়গা পাবেন কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ ছিল ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগেও। রিয়াজ-আমিরদের পিটিয়ে সেই তিনি, যুবরাজ সিংহই দিনের শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ৩২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস শুধু পাক বোলারদের শাসনই করেনি, সেকেন্ড গিয়ারে চলা ভারতের ইনিংসকে একেবারে ফোর্থ গিয়ারে নিয়ে গিয়েছিল। ৪০ ওভার পর্যন্ত যখন মনে হচ্ছিল ভারতের স্কোর ২৮০ পেরবে না, সেই স্কোরকেই যুবরাজকীয় ভঙ্গিতে ৩১৯-এ নিয়ে গেলেন তিনি। রোহিতের আউট হওয়ার পর কোহালির সঙ্গে পরবর্তী দশ ওভারে প্রায় ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পাশাপাশি নড়বড়ে ভারত অধিনায়ককে ভরসার দেওয়ার কাজটিও করেন যুবি। নিজের উপর চাপ নিয়ে কোহালিকে তাঁর নিজের স্ট্রোক খেলতে সাহায্য করেন, সিনিয়রের মতো গাইড করেন ২৮ বছরের কোহালিকে।
যুবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিরাট।
ম্যাচের শেষে যুবরাজকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে কোহালি বলেন, “কোনও সন্দেহ নেই, যুবরাজের ইনিংসটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আমি হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেও নিজের খেলাটা ঠিকমতো খেলতে পারছিলাম না। যুবি এসে সমস্ত চাপটা নিজের উপর নিয়ে নিল। ও যে ভাবে ইয়র্কার এবং লো ফুলটসগুলিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাচ্ছিল, তাতেই পাকিস্তান ব্যাকফুটে চলে যায়। ওঁর ব্যাটিং দেখে নিজেকে ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটার বলে মনে হচ্ছিল।” যুবরাজ এই ফর্মে ব্যাট করলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যে ভারতের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে, তা-ও বলেন কোহালি।
আরও পড়ুন: কৌশল পাল্টে রানে ফিরলেন যুবরাজ সিংহ
ছবি: রয়টার্স।