বিধ্বংসী: সেন্টার কোর্টে গুলবিসকে উড়িয়ে দিয়ে জকোভিচ। ছবি: এএফপি
ঘণ্টা দু’য়েক লাগল নোভাক জকোভিচের। উইম্বলডনের দ্বিতীয় সপ্তাহে যাওয়ার রাস্তা পরিষ্কার করতে। ফল ৬-৪, ৬-১, ৭-৬ (৬-২)। লাতভিয়ার আর্নেস্ট গুলবিসকে হারালেন এ ভাবেই। আর জিতে উঠে বললেন, ‘‘মনে হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক ভাল খেলছি। নিজেকে আরও কিছুটা উপরে নিয়ে যেতে পেরেছি। আগের দুটো ম্যাচে যা খেলেছি, তার চেয়ে বেশ ভাল।’’
সেমিফাইনালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি হতে পারেন, সেই রজার ফেডেরারকেও অপ্রতিরোধ্য লাগছে। শনিবার শেষ ষোলোয় ওঠার পথে ফেডেরার ৭-৬, ৭-৬, ৬-৪ ফলে হারালেন মিশা জেরেভকে। ফেডেরারের সামনে এ বার প্রতিন্দ্বন্দ্বী ‘বেবি ফেডেরার’— গ্রিগর দিমিত্রভ। এ দিন ম্যাচ জিতে ফেডেরার বলেন, ‘‘প্রথম সপ্তাহটা ভালই কাটল। পরের লড়াই শুরুর আগে এক দিনের বিশ্রামটা কাজে লাগবে।’’ নিজের পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ে ফেডেরার বলেছেন, ‘‘দিমিত্রভের বিরুদ্ধে যত বার খেলেছি, দেখেছি ও শেষ বারের চেয়ে উন্নতি করেছে। মানসিক ভাবেও ও খুব শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।’’
উল্টো দিকে জকোভিচের মনে হচ্ছে, গত দুটো ম্যাচই শুধু নয়, গত দু’সপ্তাহের চেয়ে বেশি ভাল এ দিন খেলেন তিনি। বলেন, ‘‘আজ ফোকাসটা একেবারে ঠিকঠাক ছিল। ঠিক সময়ে এই খেলাটা খেলতে পারলাম। গুলবিস চ্যালেঞ্জ হিসেবে মোটেই খারাপ নয়। ওর সর্ভিস সাঙ্ঘাতিক। ১২৫-১৪০ মাইলে সার্ভ করে।’’ গুলবিসের একটা ফোরহ্যান্ডে সার্ভিস খোয়ানোর পর তাঁকে মেজাজ হারাতেও দেখা যায় একবার। যখন একটা লাইন কলের পরে চেয়ার আম্পায়ার জেক গার্নারকেই চেঁচিয়ে ‘উপদেশ’ দিতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর উদ্দেশে জোকার বলেন, ‘ফোকাস প্লিজ’। তার পর অবশ্য নিজেকে সামলে নেন। সোমবার শেষ ষোলোয় তাঁর সামনে ফ্রান্সের আদ্রিয়ান মানারিনো। লড়াইটা আরও কঠিন হবে। তবে বিশ্বের ৫১ নম্বরকে নিয়ে জকোভিচের হোমওয়ার্ক এখনই প্রায় তৈরি। গুলবিসকে হারানোর পর সার্ব তারকা মন্তব্য করেন, ‘‘ঘাসে মানারিনো বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। সোজা শট আর স্লাইস সার্ভে দুর্দান্ত। এই কোর্টে বিপক্ষের খেলা ও খুব ভাল আন্দাজ করতে পারে। ভাল ফর্মে আছে ও। আমিও ফর্মে আছি অবশ্য।’’
ছেলেদের বিভাগে তেমন দারুণ লড়াই এখনও নিশ্চিত না হলেও মেয়েদের চতুর্থ রাউন্ডে প্রাক্তন দুই ফাইনালিস্ট গার্বিন মুগুরুজা ও অ্যাঞ্জেলিক কের্বেরের মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল এ দিন। ২০১৫-র ফাইনালিস্ট মুগুরুজা তৃতীয় রাউন্ডে যে ভাবে ৬-২, ৬-২-এ হারান রোমানিয়ার সোরানা কার্স্টিকে, কের্বের কিন্তু অত সহজে জিততে পারেননি। মার্কিন সেলবি রজার্সকে হারাতে দু’ঘণ্টারও বেশি নেন তিনি। মেয়েদের শীর্ষ বাছাই জার্মান তারকা প্রথম সেটেই হেরে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় সেট টাই ব্রেকারে জিতে ম্যাচ বাঁচান। শেষ সেটে অবশ্য দাপটেই জেতেন তিনি। ফল ৪-৬, ৭-৬ (৭-২), ৬-৪। গ্রিগর দিমিত্রভ, টমাস বের্ডিচ, মিলোস রাওনিচ ছেলেদের বিভাগে যেমন এগিয়েছেন। তেমনই অ্যাগনিস্কা রাডওয়ানস্কা, ক্যারোলিন ওজনিয়াকি মেয়েদের সিঙ্গলসে চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন।
ভারতীয়দেরও এ দিন খারাপ যায়নি। রোহান বোপান্না তাঁর সঙ্গী কানাডার ডব্রোস্কিকে নিয়ে তৃতীয় রাউন্ডে উঠলেন স্ট্রেট সেটে জিতে। সানিয়া মির্জা ও তাঁর সঙ্গী কার্স্টেন ফ্লিপকেন্স ব্রিটেনের নাওমি ব্রডি ও হেদার ওয়াটসনকে হারিয়ে মেয়েদের ডাবলসে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেন।
(রবিবার উইম্বলডনে বিশ্রামের দিন হওয়ায় কোনও ম্যাচ নেই)