ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। গ্রুপে তারাই সর্বশেষ দল। চরম সঙ্কট লা লিগাতেও। লিয়োনেল মেসিহীন বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বেনফিকার কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আর একটা কঠিন পরীক্ষার সামনে। শনিবারই লা লিগায় তাদের লড়াই আতলেতিকো দে মাদ্রিদের বিরুদ্ধে।
শনিবারের ম্যাচ একইসঙ্গে বার্সায় বাতিল লুইস সুয়ারেস, আঁতোয়া গ্রিজ়ম্যানের জন্য এনে দেবে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ। সবচেয়ে বড় কথা, নির্বাসনের জেরে বার্সা তাদের রিজ়ার্ভ বেঞ্চেও পাবে না কোচ রোনাল্ড কোমানকে। প্রশ্ন একটাই। আর ক’দিন ক্যাম্প ন্যুর ক্লাব ডাচ কোচকে সহ্য করবে? স্পেনের প্রচারমাধ্যমের খবর, কোমানকে ছাঁটাই করাটা সময়ের অপেক্ষা। মনের মতো বিকল্প খুঁজে পেলেই হল!
কোমান নিজেও বুঝছেন তাঁর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যে কারণে বেনফিকা ম্যাচের পরে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বোর্ড আমাকে নিয়ে কী ভাবছে, নিজেও জানি না। কিছুই আমার হাতে নেই।’’ শেষ পাঁচ ম্যাচের একটিতে মাত্র জয়। অবিশ্বাস্য ভাবে লিগ টেবলে ছ’নম্বরে নেমে যাওয়া। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ০-৩ হারটা তবু মেনে নেওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বেনফিকার মতো ক্লাবও একই ব্যবধানে ম্যাচ জেতার পরে কোমানের হয়ে বলার মতো কার্যত কেউ নেই।
প্রবল সমালোচনা হচ্ছে কোমানের তিকি-তাকা বর্জনের রণকৌশলেরও। তিনি যদিও অজুহাত দিচ্ছেন, বাধ্য হয়েই বার্সার বিখ্যাত শৈলী থেকে সরে এসেছেন। কারণ তাঁর হাতে এখন আর মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তাদের মতো ফুটবলার নেই। কিন্তু তাঁর কোনও যুক্তিই যে পছন্দ করছেন না নতুন প্রেসিডেন্ট জোয়ান লাপোর্তা, সে খবরও আসতে শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বেনফিকা ম্যাচে হারের পরে লিসবন ফেরত বিমানে কোমানের সঙ্গে একটি কথাও বলেননি তিনি। অথচ সামনের দিকের আসনে তাঁরা পাশাপাশি বসেছিলেন। লাপোর্তা নাকি পুরো সময়টা চোখ বন্ধ করেছিলেন। পাশাপাশি বার্সায় কোমানের বিকল্প খুঁজতেও ডিরেক্টরেরা বৃহস্পতিবার ভোর চারটে পর্যন্ত সভা করেছেন।