স্মৃতি: রোনাল্ডোর সঙ্গে খেলে তীক্ষ্ম হয়েছেন, বলছেন মেসি। ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসি মনে করেন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জুভেন্টাসে চলে গেলেও, লা লিগায় তাঁদের দ্বৈরথের কথা মানুষ সহজে ভুলতে পারবে না। আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তির কাছে, সেই স্মৃতি আজও বিশেষ একটা ব্যাপার।
মেসি বনাম রোনাল্ডো দ্বৈরথ চলেছিল প্রায় এক দশক। ২০০৯ থেকে ২০১৮। এক বার বাদে এই দু’জনই শেষ বারো বার ভাগ করে নিয়েছেন ফুটবলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত পুরস্কার, ‘ব্যালন ডি’ওর’। বহু আলোচিত সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বার্সেলোনার নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। রিয়াল মাদ্রিদকে রোনাল্ডো। মেসি নিজেও মানছেন, তাঁদের যুযুধান সম্পর্কের গভীরতার জন্যই সেই দ্বৈরথের স্মৃতি সহজে ভোলার নয়।
লা লিগার এক ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেছেন, ‘‘বহু বছর ধরে আমাদের লড়াইয়ের কথা মানুষ সারা জীবন মনে রাখবেন। এই যুযুধান সম্পর্কের জন্য আমরা দু’জনই ব্যক্তিগত ভাবে কিন্তু দারুণ উপকৃত হয়েছি। ফুটবলার হিসেবেও আমরা নিজেদের আরও উন্নত করতে পেরেছি। ভক্তেরাও যা দেখে মজা পেয়েছেন। তা তাঁরা বার্সা বা মাদ্রিদ— যে দলেরই সমর্থক হন না কেন।’’
চার বছর পরে ২০১৯-এই মেসি তাঁর ষষ্ঠ ব্যালন ডি’ওর জিতে অনন্য নজির গড়েছেন। রোনাল্ডো যে ট্রফি হাতে তুলেছেন পাঁচ বার। রোনাল্ডোর সময় মেসি গোল করেছেন ৪৭২টি। ৪৭৬ ম্যাচে। পর্তুগিজ মহাতারকার গোলের সংখ্যা ৪৫০। ৪৩৮ ম্যাচে। মেসি স্বীকার করেছেন, রোনাল্ডোর সময় ‘এল ক্লাসিকো’র গুরুত্ব অনেক বেশি ছিল। ‘‘ক্রিশ্চিয়ানো মাদ্রিদে থাকার সময় ওর বিরুদ্ধে খেলতে নামা আমার কাছে সব সময় বিশেষ ব্যাপার ছিল। কিন্তু সে দিন আর নেই। অথচ আমরা দু’জনে দু’জায়গায় আজও খেলে যাচ্ছি,’’ বলেন মেসি।
এই সাক্ষাৎকারে অন্য এক প্রসঙ্গে মেসির কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় যে, সব ম্যাচেই বিপক্ষ ফুটবলারদের বিশেষ নজরের মধ্যে খেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন। আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি জবাবে জানিয়েছেন, কড়া মার্কিংয়ে খেলা তাঁর গা সয়ে গিয়েছে। এখন এটা নিয়ে তাঁর আলাদা অনুভূতি নেই। সঙ্গে অবশ্য তিনি নাম করেছেন, ফুটবল জীবনে তাঁর কঠিনতম মার্কারের কথা। তিনি খিরোনার পাওলো মাফেয়ো। তাঁর কথা, ‘‘এই মার্কিংয়ের ব্যাপারটা অনেক ক্ষেত্রেই কুৎসিত রূপ নিয়েছে। অনেক সময় অদ্ভুত সব পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সারাক্ষণ বিপক্ষের কেউ না কেউ গায়ে লেগে থেকেছে। এটা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাইনি কখনও। তবে খেলা চলাকালীন অনেক সময় আমাদের কথা কাটাকাটি হয়েছে।’’ যোগ করেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে মার্কারদের মধ্যে কঠিনতম কে তা আর আজ ভাল করে মনে করতে পারি না। হতে পারে সেই একজন হল খিরোনার মাফেয়ো।’’ সঙ্গে প্রায় সব ম্যাচেই তাঁকে যে বারবার ফাউল করা হয়, তা নিয়ে মেসির মন্তব্য, ‘‘এটা নিয়েও আর ভাবি না। তবে খারাপ উদ্দেশ্যে কেউ ট্যাকল করলে খারাপ লাগে। এর বাইরে, ট্যাকল নিয়ে আপত্তির কিছু থাকতে পারে না। হাজার হোক, এটা খেলারই অঙ্গ।’’