উদ্বিগ্ন: পরিবারে করোনার হানা। লড়াই চলছে অশ্বিন ও স্ত্রী প্রীতির।
তাঁদের পরিবারে একাধিক সদস্য কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পরে কী রকম দুঃস্বপ্নের সপ্তাহ গিয়েছিল, তা ফাঁস করলেন অশ্বিনের স্ত্রী প্রীতি। জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে দশ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।
দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন অশ্বিন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের পাশে থাকার জন্য আইপিএল থেকে ছুটি নিচ্ছেন। কিন্তু পরিস্থিতি যে এতটা উদ্বেগজনক ছিল, বোঝা যায়নি। অশ্বিনের স্ত্রী প্রীতি এ দিন টুইট করেন, ‘‘একই সপ্তাহে ছ’জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং চার জন শিশু কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল আমাদের পরিবারে। পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেই ভাইরাসে কবু হয়ে বিভিন্ন বাড়িতে বা হাসপাতালে ছিল। দুঃস্বপ্নের একটা সপ্তাহ!’’
ব্যাখ্যা দিয়ে আরও লিখেছেন, ‘‘শারীরিক সুস্থতা হয়তো মানসিক দিকটার চেয়েও আগে আসবে। পঞ্চম থেকে অষ্টম দিন সব চেয়ে কঠিন ছিল। সকলে পাশে দাঁড়িয়েছিল, তবু নিভৃতবাসে তুমি কত একা! এর চেয়ে একাকী করে দেওয়া রোগ আর হয় না।’’ প্রীতি সকলের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন, ‘‘আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ান, সাহায্য করুন।’’
এ দিকে, আইপিএলে ক্রমশ গতি পাচ্ছে ‘মিশন অক্সিজেন’। ভারতীয় দলের ওপেনার শিখর ধওয়ন জানান, তিনি ২০ লক্ষ টাকা ‘মিশন অক্সিজেন’-এ দিচ্ছেন। আইপিএল থেকে প্রাপ্ত সব ব্যক্তিগত আর্থিক পুরস্কারও অক্সিজেন সঙ্কট মেটাতে দেবেন। রাজস্থান রয়্যালসের বাঁ হাতি পেসার জয়দেব উনাদকাটও জানিয়েছেন, তাঁর আইপিএল বেতনের দশ শতাংশ করোনার কাজে দিচ্ছেন। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার নিকোলাস পুরান বলেছেন, আইপিএলের বেতন থেকে একটা অংশ তিনি দেবেন। টুইটারে পুরান লিখেছেন, ‘‘জানি, অন্য অনেক দেশেই অতিমারির প্রকোপ চলছে। কিন্তু ভারতের অবস্থাটা ভয়ঙ্কর। তাই বেতনের একটা অংশ দেব বলে ঠিক করেছি।’’ এগিয়ে এসেছে পঞ্জাব কিংসও। অক্সিজেন ‘কনসেনট্রেটর’ সরবরাহ করতে তারা তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিল রাজস্থান রয়্যালস। ঋষভ পন্থদের দিল্লি ক্যাপিটালসও দেড় কোটি টাকা দিচ্ছে এক বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত প্যাট কামিন্স ৩৭ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। হরভজন সিংহ এ দিন টুইট করেছেন, “এখনই লকডাউন ঘোষণা করলে ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা আমরা বেরোতে পারব। এবং মৃত্যু-মিছিল বন্ধ হবে।”