কোহালিদের সঙ্গে অনলাইনে ফিটনেস নিয়ে আলাপে মোদী।
তুঙ্গ ফিটনেস চর্চায় অহরহ ব্যস্ত ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী? বললেন ‘ফিট ইন্ডিয়া’ গড়ে তুলতে তাঁর নতুন স্লোগান— 'ফিটনেস কি ডোজ, আধা ঘণ্টা রোজ।' অর্থাৎ, শরীরকে সুস্থ রাখতে রোজ আধঘণ্টা ফিটনেস চর্চা করতে হবে।
‘ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট’-এর প্রথম বর্ষপূর্তিতে বৃহস্পতিবার ‘ফিট ইন্ডিয়া ডায়ালগ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল বৈঠকের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী ওই স্লোগান দেন। সঙ্গে নতুন নিদান— ‘‘যে পরিবার একসঙ্গে খেলে, তারা একসঙ্গেও থাকেও।’’
বৈঠকে ভারত অধিনায়ক কোহালি ছাড়াও ছিলেন অভিনেতা মিলিন্দ সোমান, পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর, প্যারা-অলিম্পিকে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনাজয়ী দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া, জম্মু-কাশ্মীরের ফুটবলার আফশান আশিকরা। আলোচনায় উঠে আসে শরীর সুস্থ রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা। মোদী বলেন, ‘‘মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এতে আমি খুশি। ফিট থাকাটা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। নিয়ম মেনে চললেই ফিট থাকা সম্ভব।’’
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার ঘোষণা এ সপ্তাহে
কোহালির ফিটনেস সারা পৃথিবীর অ্যাথলিটদের মধ্যে রীতিমতো চর্চার বিষয়। ফিট থাকার জন্য তিনি পুরোদস্তুর ‘ভেগান’ (নিরামিশাষী) হয়ে গিয়েছেন। অনুষ্ঠানে কোহালির খাদ্যাভাস থেকে শুরু করে তাঁর ফিটনেস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন মোদী। কোহালি বলেন, ‘‘আমাদের দেশি খাবার, আমাদের অঞ্চলের খাওয়াদাওয়া প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলাম। খেয়াল করে দেখেছি, এই খাদ্যাভাসের ফলে শারীরিক কোনও সমস্যা হয়নি। আমার দিদিমার শরীর-স্বাস্থ্য এখনও বেশ ভাল। উনি ঘরে তৈরি খাবার খান। আমি বেড়ে ওঠার সময় অনেক রাস্তার খাবার খেতাম। যেখানে খেলতে যেতাম, সেখানেই বাইরের খাবার খেতাম। পরে উপলব্ধি করি, ওগুলো খাওয়া মোটেও ভাল নয়। ফিটনেস ও ডায়েটের উপরে নজর দেওয়ায় আমার মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। খেলাধুলোর মতোই আমার দৈনন্দিন জীবনও গতিশীল হয়েছে। এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হবে।’’ কোহালি আরও বলেন, ‘‘কোনওদিন ক্রিকেট প্র্যাকটিস করতে না পারলেও এমন কোনও দিন আসেনি, যে আমি আমার ফিটনেস সেশন বন্ধ রেখেছি।’’
পঞ্চাশোর্ধ্ব মিলিন্দ সোমান এখনও নিয়মিত ম্যারাথনে দৌ়ড়ন। কয়েক মাস আগেই তাঁর ৮০ বছরের বা দীর্ঘক্ষণ ‘প্ল্যাঙ্ক’ করে সোশাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়ে গিয়েছিলেন। মিলিন্দ ওই বৈঠকে বলেন, ‘‘মানসিক জোর থাকলে তার পক্ষে ১০০ কিলোমিটার হাঁটাটাও কঠিন কাজ নয়।’’ আর পুষ্টিবিদ দিওয়েকরের কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য ভাঙা নয়, মেদ কমাতে হবে। আমাদের বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া উচিত এবং প্যাকেটের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। সুস্বাস্থ্যের গোপন রহস্য এটাই।’’
আরও পড়ুন: রোহিত-ঝড়ে উড়ে গেল নাইটরা