নিউজিল্যান্ড এখন অতীত। এ বার অপেক্ষা ইংল্যান্ডের। নতুন প্রতিপক্ষ, নতুন চ্যালেঞ্জ। ঠিক কতটা তৈরি ভারতীয় দল? প্রশ্নটা থাকছেই। কারণ ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ সহজে জিতে নিলেও ওয়ান ডে সিরিজ জিততে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ধোনি বাহিনীকে। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড এই মুহূর্তে খেলছে বাংলাদেশে। প্রথম টেস্ট শেষ মুহূর্তে ২২ রানে জিতে নিলেও দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের কাছে ১০৮ রানে হারের মুখ দেখতে হচেছে কুকদের। ১০ টেস্ট পর কোনও দক্ষিণ এশিয়ার দলের কাছে হারল ইংল্যান্ড। এই অবস্থায় সাফল্যের তুঙ্গে থাকা ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে সতর্ক ইংল্যান্ডও। হালকাভাবে নিচ্ছে না ভারতও।
৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট। নিউজিল্যান্ডের পর ইংল্যান্ডকেও টেস্ট সিরিজে হারাতে মরিয়া কোহালিরা। কোহালির মতো কুকও দারুণ ফর্মে রয়েছেন। তবুও তিন দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট। হারে পর কুক বলেছিলেন, ‘‘আমার দল যে অনভিজ্ঞ সেটা এই সিরিজে প্রমাণ হল। আমাদের দলের বেশিরবাগ প্লেয়ারেরই বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। পর পর উইকেট হারিয়ে আত্মবিশ্বাসটাও কমে যাচ্ছিল। এই অবস্থায় ম্যাচে ফিরতে সমস্যা হচ্ছিল।’’ এই একই দল নিয়ে ভারতে আসছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ থেকে কিছুটা অভিজ্ঞতা নিয়েই ভারতের মাটিতে আরও ভাল কিছু করে দেখাতে মরিয়া তারা।
উল্টোদিকে, বিরাট কোহালির নেতৃত্বে শেষ চারটি টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে ঘরের মাঠে গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ৩-০তে জিতে নেওয়া। আর সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ড সিরিজও ৩-০তে জিতে নিয়েছেন কোহালি অ্যান্ড ব্রিগেড। ভারতের এই সাফল্যের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল অশ্বিনের। শেষ একদিনের ম্যাচে যাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল ইংল্যান্ড সিরিজের কথা মাথায় রেখেই। ঘরের মাঠে এই সাতটি টেস্ট ম্যাচে অশ্বিন একাই ৫৮টি উইকেট নিয়েছিলেন। এ বারই কোহালির বাজি অশ্বিনই। নবাগত মেহেদি হাসানের অফ-স্পিনেই যে ভাবে নাস্তানাবুদ হতে দেখা গেল ইংল্যান্ডকে অশ্বিন তাদের কাছে বিভীষিকা হয়ে উঠতে পারেন।
ভারতকে ২০১২তে ভারতের মাটিতে ২-১এ টেস্ট সিরিজ হারিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। যদিও সেই দল অনেকটাই বদলে গিয়েছে। সেই সময় গ্রেম সোয়ান ও মন্টি পানেসার বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ছিলেন জেমস অ্যান্ডারসন। এ বার চোটের জন্য দলের রাখা যায়নি তাঁকে। যদিও কুকের মতে, ইংল্যান্ড ভারতে আসছে আন্ডারডগ হিসেবেই। বলেন, ‘‘আমরা এই সত্যিটা কোনওভাবেই লুকোচ্ছি না যে আমাদের কাছে বিশ্বমানের স্পিনার নেই। আমাদের দলে এমন বোলার রয়েছেন যাঁরা খুব ভাল বল করতে পারে। কিন্তু সবটা আমাদের নিয়ন্ত্রনে নেই।’’ ভারতের উইকেট যে স্পিন ফ্রেন্ডলি সেটা নিউজিল্যান্ড টেস্টের আগে থেকেই চর্চার বিষয়। এ বার সেই উইকেটেই ভারতের নতুন লড়াই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। টেস্ট জয়ের ধারাবাহিকতার সঙ্গে ধরে রাখতে হবে এক নম্বর স্থানও।
আরও খবর
ভেবেছিলাম জীবনটাই শেষ করে দেব: ব্র্যাড হগ