ফাইল চিত্র।
ফিফা ক্রমতালিকায় ইংল্যান্ড চতুর্থ স্থানে। ৪৪ নম্বরে স্কটল্যান্ড। কিন্তু দুই দেশের দ্বৈরথের তাৎপর্যই আলাদা। ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের ১৪৯ বছরের লড়াইয়ের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রাজনীতি এবং আবেগও। আজ, শুক্রবার ওয়েম্বলিতে ইউরো কাপে ফের মুখোমুখি হচ্ছে দুই দেশ।
ইংল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ড প্রথম দ্বৈরথ হয়েছিল ১৮৭২ সালের নভেম্বর মাসে। খেলা হয়েছিল প্যাট্রিকে স্কটল্যান্ড ক্রিকেট ক্লাবের মাঠে। সেটাই ছিল বিশ্বফুটবলের ইতিহাসে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। গোলশূন্য হয়েছিল খেলা। ১৮৭৬ থেকে ’৮৪, ন’টির মধ্যে আটটি ম্যাচই জিতেছিল স্কটল্যান্ড। একটি ম্যাচে ৭-২ হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। ১৮৯০ সাল থেকে ছবিটা বদলাতে শুরু করে। ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। যদিও ১৮৮৮ সালে তারা ৫-০ হারিয়েছিল স্কটল্যান্ডকে। কিন্তু ইংল্যান্ডের একাধিপত্যের সূচনা ১৮৯০ সাল থেকে। শত্রুতা এতটাই চরমে পৌঁছেছিল যে, ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করা সত্ত্বেও খেলেনি স্কটল্যান্ড। কারণ, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে তারা দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল। এই হার কখনওই মেনে নিতে পারেননি স্কটিশরা। বরাবরই ব্রিটেনের সঙ্গত্যাগ করে স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে স্কটিশদের একাংশ। বছর সাতেক আগে রীতিমতো গণভোট করে দেশের মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছিল, সেই নির্বাচনে যদিও ব্রিটেন-পন্থীরাই জিতেছিলেন। দুই দেশের বৈরিতার এই ছবিটা কখনওই বদলায়নি। ১৯৯৬ সালের ইউরো কাপে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামেই স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোলের পরে পল গাসকোয়েনের সেই উৎসব নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে। এ বারও দ্বৈরথ ওয়েম্বলিতেই।
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে রানার্স ক্রোয়েশিয়াকে ১-০ হারিয়ে চলতি ইউরো কাপে যাত্রা শুরু করেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে হেরেছে স্কটল্যান্ড। দুই দেশের কাছেই শুক্রবারের ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফিল ফডেনদের লক্ষ্য জিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ ষোলোয় খেলা নিশ্চিত করা। স্কটল্যান্ডকে জিততে হবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
শুক্রবার ইউরো কাপে ক্রোয়েশিয়ার কাছেও মরণ-বাঁচন লড়াই। লুকা মদ্রিচদের প্রতিপক্ষ চেক প্রজাতন্ত্র। একই দিনে সুইডেন খেলবে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে। আগের ম্যাচে স্পেনকে আটকে চমকে দিয়েছে সুইডেন। পোলান্ড ২-১ হারিয়েছে স্লোভাকিয়াকে। কিন্তু ম্যাচের আগে করোনাভাইরাসের হানায় উদ্বেগ বেড়েছে স্লোভাকিয়া শিবিরে। ডিফেন্ডার ডেনিস ভাভরো ছাড়াও এক সাপোর্ট স্টাফও আক্রান্ত হয়েছেন মারণ ভাইরাসে।