ক্রিকেট। চারশো বছরের বেশি প্রাচীন এই খেলা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। বাইশ গজের এই লড়াইয়ে রয়েছে প্রচুর নিয়ম। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক জটিল নিয়ম। আবার এমনও কিছু নিয়ম রয়েছে যা রীতিমতো অদ্ভুত। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ক্রিকেটের তেমনই অদ্ভুত কিছু নিয়ম।
খেলার মাঝে যদি বল হারিয়ে যায়, তা হলে যে দল ফিল্ডিং করছে তারা ‘লস্ট বল’এর আবেদন করতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী তখনই বল পাল্টে খেলা শুরু হবে। ব্যাটিং সাইড দাবি করলে এই লস্ট বলের জন্য পেনাল্টি রান দাবি করতে পারে। ছ’রান পর্যন্ত ব্যাটিং দল পেতে পারে।
আম্পায়ার যদি বোঝেন যে ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গিয়েছেন, সে ক্ষেত্রেও তিনি তাঁকে আউট ঘোষণা করতে পারবেন না, যত ক্ষণ না ফিল্ডিং সাইড আউটের আবেদন করেন। এমনকী ব্যাটসম্যান নিজে চাইলেও বেরিয়ে যেতে পারবেন না ফিল্ডিং সাইড আবেদন না করলে।
ক্রিকেটের এক বিচিত্র নিয়ম হল মানকারেড। ১৯৪৭ সালে ভারতের বিনু মাঁকড় অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনকে এই পদ্ধতিতে প্রথম আউট করেন বলে এই অদ্ভুত নাম। এই নিয়মে বোলিং রান আপ শেষে বোলার যদি দেখেন নন স্ট্রাইকার ক্রিজের বাইরে আছেন, তখন তিনি নন স্ট্রাইকারের বেল ভেঙে আউট করতে পারেন। বোলার সফল না হলে বলটিকে ডেড বল ঘোষণা করা হবে।
কোনও ক্রিকেটার আহত হলে তাঁর জায়গায় পরিবর্ত ক্রিকেটার আনতে হলে প্রতি ক্ষেত্রে আম্পায়ারকে জানাতেই হবে। কোনও বার যদি না জানানো হয়, তা হলে ব্যাটিং সাইড পাঁচ রান পেনাল্টি হিসাবে পাবে।
কোনও বোলার বা ব্যাটসম্যান যত ক্ষণ মাঠের বাইরে থাকবেন, মাঠে ফেরার পর তত ক্ষণই বোলিং বা ব্যাটিং করতে পারবেন না। এমনই এক ঘটনায় ইনিংসের শেষে দিকে ১৮ মিনিট মাঠে না থাকায় দু’টি উইকেট পড়ে গেলেও সচিন ব্যাট করতে নামতে পারেননি।
টেস্টে একটি নিয়ম রয়েছে যার নাম ফরফেচার। দুই দলের অধিনায়ক সম্মত হলে একটি করে ইনিংস পুরো ডিক্লেয়ার করতে পারে। ২০০০ সালে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দিনে করে ৬ উইকেটে ১৫৫। তিন দিন বৃষ্টি হয়। প্রথম ইনিংসে ২৪৮ রানের পর হ্যান্সি ক্রোনিয়ে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক নাসির হুসেনকে ফরফেচারে আবেদন করেন।
ব্যাটসম্যান একবার ব্যাট চালিয়ে ফের সেই বলকে ইচ্ছাকৃত ভাবে দ্বিতীয় বার মারলা তা হলে বিপক্ষ দলের আবেদনে আম্পায়ার তাকে আউট দিতে পারেন।