দেশে ফেরার পথে বিমানে ট্রফি নিয়ে পর্তুগাল দল। ছবি: এএফপি।
প্রশ্ন উঠে গেল রোনাল্ডোকে ছাড়াই তাহলে জিততে পারে পর্তুগাল? একটা প্রচলিত কথা সব সময়ই শোনা যেত, পর্তুগাল নাকি বড্ড রোনাল্ডো নির্ভর। যেভাবে এই ইউরো ফাইনাল ছিল রোনাল্ডোর প্রমাণের মঞ্চ ঠিক সেভাবেই পর্তুগালেরও এটা প্রমাণ করার ছিল যে এটাও একটা টিম। ওয়ান ম্যান শো-র কোনও জায়গা নেই। শুরুতেই তাই দলের তারকা ফুটবলার রোনাল্ডো চোট পেয়ে বেরিয়ে যেতেই খেলাটাকে অন্য গতিতে চালাতে শুরু করল দল। তেমনভাবে আক্রমণেই উঠল না দল। বরং ঘাপটি মেরে যেন বসেছিল একটা সুযোগের অপেক্ষায়। একটা সুযোগ আর তা থেকেই এডারের গোল। ফ্রান্স যেন অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে পারল না। যে গ্রিয়াজম্যানকে নিয়ে এত কথা তিনিও লুকিয়ে থাকলেন অন্তরানে। গোলের সামনে একটা হেড ছাড়া কিছুই দেখা গেল না।
যেটা দেখা গেল সেটা হল ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর আবেগ। চোখের জলে ভেসে যাওয়া। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় যখন কাঁদছিলেন তখন ছিল একরাশ যন্ত্রণা। আর খেলা শেষে সেই একই চোখের জল হয়ে গেল আনন্দাশ্রু। ইউরোপের ফুটবলে সবুজ-মেরুন ঝড় বইয়ে দিয়ে নতুন নাম পর্তুগাল। দেখে নেওয়া যাক ইউরো ফাইনালে ভিডিও।
ইউরো ফাইনালের হাইলাইট