মিনার্ভার হারে ফের আশার আলো দুই প্রধানে

মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চকুল্লায় যখন মিনার্ভাকে হারিয়ে মাঠে উৎসবে মেতে উঠেছেন গোকুলমের ফুটবলাররা, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে তখন অনুশীলন করাচ্ছিলেন লাল-হলুদ কোচ খালিদ জামিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:২০
Share:

প্রস্তুতি: আই লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নতুন উৎসাহে নেমে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

এ যেন ডুবতে ডুবতে হঠাৎ ভেসে ওঠা। যে গোকুলম এফসি কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে আঁধার নামিয়েছিল, মঙ্গলবার তারাই আবার মিনার্ভা এফসি-কে হারিয়ে আলোর সন্ধান দিল দুই শিবিরে।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চকুল্লায় যখন মিনার্ভাকে হারিয়ে মাঠে উৎসবে মেতে উঠেছেন গোকুলমের ফুটবলাররা, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে তখন অনুশীলন করাচ্ছিলেন লাল-হলুদ কোচ খালিদ জামিল। মিনার্ভার হারের খবরে ইস্টবেঙ্গল শিবিরের আবহ মুহূর্তের মধ্যে বদলে যায়। ব্যতিক্রম খালিদ। লাল-হলুদ কোচের সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘‘আমাদের পরের তিনটি ম্যাচেই জিততে হবে। অন্য দলগুলো কী করছে তা নিয়ে ভাবতে চাই না।’’

ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার এবং ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘মিনার্ভা হারলেও লিগ টেবলে আমাদের আগেই রয়েছে। ওদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান শুধু কমেছে। তাই উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।’’ তিনি আরও বললেন, ‘‘বারবার সুযোগ আসছে, কিন্তু আমরা তা সদ্ব্যবহার করতে পারছি না। এখন যা পরিস্থিতি তাতে পরের তিনটি ম্যাচেই জিততে হবে।’’

Advertisement

কোঝিকোড়ে গোকুলমের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে জিতলে এ দিনই মিনার্ভার সঙ্গে পয়েন্ট সমান হয়ে যেত ইস্টবেঙ্গলের। হতাশ মনোরঞ্জন বললেন, ‘‘গোকুলমের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা একেবারেই খেলতে পারিনি। ওই ম্যাচ জিতে থাকলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে ভাবতে হতো না। অবশ্য আমরা এই আই লিগে অবিশ্বাস্য ভাবে প্রচুর পয়েন্ট নষ্ট করেছি। বেশ কয়েকটা জেতা ম্যাচ ড্র করে ফিরেছি।’’

মঙ্গলবার দুপুরে অনুশীলনেও ছিলেন মনোরঞ্জন। তবে মহম্মদ আল আমনা, ডুডু ওমাগবেমি-দের সঙ্গে এ দিন কোনও বৈঠক করেননি তিনি। ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ ঘরের মাঠে চেন্নাই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে শনিবার। ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করতে ম্যাচের আগের দিন কথা বলবেন লাল-হলুদের প্রাক্তন তারকা।

ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও। আগের ম্যাচে নেরোকা এফসি-কে হারিয়ে নাটকীয় ভাবে খেতাব দৌড়ে ফিরে এসেছেন দিপান্দা ডিকা-রা। যদিও ম্যাচের পরে সবুজ-মেরুন কোচ জানিয়েছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখছেন না। এ দিন গোকুলমের বিরুদ্ধে মিনার্ভার হার বদলে দিয়েছে তাঁকেও। শঙ্করলাল বললেন, ‘‘লম্বা লিগে যে কোনও মুহূর্তে অঘটন ঘটতে পারে। কেউ কি ভাবতে পেরেছিল মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মিনার্ভাকে হারিয়ে দেবে গোকুলম। তাই কী হবে কেউ বলতে পারবে না।’’ কী অঙ্কে মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হতে পারে তার ব্যাখ্যাও দিলেন আক্রম মোঘরাভি-দের কোচ। বললেন, ‘‘তিনটি ম্যাচ জিতলে আমরা ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করব। ইস্টবেঙ্গল এবং নেরোকা-র সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব। কারণ, মুখোমুখি সাক্ষাতে আমরা দু’টো দলের থেকেই এগিয়ে রয়েছি।’’

আই লিগের অঙ্ক নিয়ে অবশ্য ফুটবলারদের ভাবতে বারণ করে দিয়েছেন মোহনবাগান কোচ। ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ খেলতে শুক্রবার গোয়া রওনা হচ্ছে দল। শঙ্করলাল বললেন, ফুটবলারদের বলেছি, লিগের অঙ্ক নিয়ে ভাববে না। শেষ তিনটি ম্যাচ জেতার জন্য ঝাঁপাও। লড়াইটা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement