সুদীপকে মরণোত্তর সম্মান ইস্টবেঙ্গলের

আশির দশকে ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন। তৎকালীন ইস্টবেঙ্গলের কোচ অমল দত্ত মোহনবাগান থেকে আসা লম্বা ছিপছিপে স্টপারকে একেবারে নতুন জায়গা-- ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে খেলাতে শুরু করেন। বদলে দেওয়া সেই জায়গাতেই পরবর্তী কালে চূড়ান্ত সফল হয়ে ওঠেন ‘টুলু’। বুধবার সন্ধ্যায় ইস্টবঙ্গলের ক্রীড়া দিবসে ময়দানের সেই পরিচিত টুলু-- সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে মরণোত্তর সম্মান জানানো হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৪ ০৩:০৭
Share:

স্মারক নিয়ে প্রয়াত সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী ও পুত্র। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র

আশির দশকে ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে অসাধারণ ফুটবল খেলেছেন। তৎকালীন ইস্টবেঙ্গলের কোচ অমল দত্ত মোহনবাগান থেকে আসা লম্বা ছিপছিপে স্টপারকে একেবারে নতুন জায়গা-- ডিফেন্সিভ মিডিও হিসেবে খেলাতে শুরু করেন। বদলে দেওয়া সেই জায়গাতেই পরবর্তী কালে চূড়ান্ত সফল হয়ে ওঠেন ‘টুলু’। বুধবার সন্ধ্যায় ইস্টবঙ্গলের ক্রীড়া দিবসে ময়দানের সেই পরিচিত টুলু-- সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে মরণোত্তর সম্মান জানানো হল।

Advertisement

প্রয়াত সুদীপের স্ত্রী সীমা চট্টোপাধ্যায় এবং ছেলে সোহন চট্টোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই সম্মান গ্রহণ করেন। স্মারক, ফুলের স্তবক, উত্তরীয় এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। প্রয়াত স্বামীর হয়ে পুরস্কার নিতে এসে সীমা দেবী রীতিমতো আবেগাপ্লুত। বলছিলেন, “ইস্টবেঙ্গল ওকে মনে রেখে যে ভাবে এই সম্মান জানাল, তাতে আমি ও আমার পরিবার অভিভূত।”

১৩ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন সচিব প্রয়াত পল্টু দাসের জন্মদিন। প্রতি বছরই এই দিনটি লাল-হলুদের ক্রীড়া দিবস হিসেবে পালিত হয়। আর এ দিনই খেলাধুলোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের সফল ক্রীড়াবিদদেরও পুরস্কৃত করা হয়। এ বার যেমন পুরস্কৃত করা হয়েছে টেবল টেনিসের সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়কে। সুতীর্থা জাতীয় জুনিয়র টিটি চ্যাম্পিয়ন। স্লোভাকিয়ায় আইটিটি জুনিয়র সার্কিটে সোনাজয়ী। চিনে অনুষ্ঠিত যুব অলিম্পিকের প্রস্তুতির জন্য এই মুহূর্তে সুতীর্থা দিল্লির শিবিরে রয়েছে। তার বাবা এসে পুরস্কার নেন। পুরস্কৃত হয় জিমন্যাস্টিক্সে রাজ্যে স্তরের অন্যতম প্রতিভাবান স্বস্তিকা গঙ্গোপাধ্যায়। পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত স্বস্তিকা বলল, “ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাব থেকে এই পুরস্কার পাব কখনও ভাবিনি। এটা আমার কাছে বড় সম্মান।” সাঁতারে রাজ্য বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সায়নী ঘোষ, আর ব্যাডমিন্টনের দিশান্ত দেবনাথও পুরস্কৃত হয়। এ ছাড়াও গত মরসুমের প্রথম থেকে পঞ্চম ডিভিশনের পাঁচ ফুটবলার--- শেখ মহম্মদ ওয়াসিম, দেবরাজ দলুই, সুরজিৎ ভট্টাচার্য, সমীর মণ্ডল, গোপাল বাঙ্কিকে পুরস্কৃত করা হয়। এ দিন রাজ্য অ্যাথলেটিক্সের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের সফল অ্যাথলিট এবং কোচেদেরও সংবর্ধনা জানানো হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement