বড় ম্যাচে হারের ধাক্কা কাটাতে আসরে নেমে পড়লেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যা করতে গিয়ে সোমবার বিকেলে মহম্মদ আল আমনা, উইলিস প্লাজা-সহ দলের ফুটবলারদের কার্যত হলুদ কার্ড দেখিয়ে একপ্রস্ত সতর্কবার্তা দিলেন তাঁরা।
এ দিন বিকেলে বড় ম্যাচে খেলা ফুটবলারদের ‘রিকভারি সেশন’-এ ডেকেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল। সেই অনুশীলন হয়ে যাওয়ার পরেই বাড়ি ফিরে যান কাতসুমি, প্লাজারা। কিন্তু মাঝপথেই তাঁরা ডাক পান কর্তাদের। এর পরেই তড়িঘড়ি ক্লাব তাঁবুতে ফিরে আসেন তাঁরা। তখনও তাঁবু ছেড়ে বেরোননি অর্ণব মণ্ডল, গুরবিন্দর-সহ ইস্টবেঙ্গলের স্বদেশী ব্রিগেড। সেখানেই ফুটবল সচিব ও শীর্ষ কর্তার উপস্থিতিতে ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কর্তারা। জানতে চান, ডার্বি ম্যাচে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে গেলে কী করতে হবে। যেখানে অর্ণব মণ্ডল, উইলিস প্লাজা-সহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলেন কর্তারা। ফুটবলারদের পরের লাজং এফসি ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বলেন। দলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ফুটবলারদের বলেছি, প্রথম দুই ম্যাচের কথা ভুলে যাও। মনে কর, পরের লাজং এফসি ম্যাচ থেকেই আই লিগ শুরু। এখনও ষোলোটা ম্যাচ রয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক সময় পাবে। তোমাদের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। তোমরা যদি এই চ্যালেঞ্জ না নিতে পার, তা হলে এখনই সরে যেতে পার।’’ জানা গিয়েছে কর্তাদের বক্তব্য শুনে ফুটবলাররাও ঘুরে দাঁড়ানোর শপথ নিয়েছেন। এ দিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন লাল-হলুদ সমর্থক। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের চার ও পাঁচ নম্বর গেটে খেলা দেখতে গিয়ে পুলিশি হেনস্থার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন লাল-হলুদ সমর্থক। সমর্থকদের বক্তব্য, তাঁদের বেশ কয়েক জনকে চার ফুটের বেশি পতাকা নিয়ে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও ধাতব বা কাঠের দণ্ড ছাড়া বড়সড় পতাকা নিয়ে মাঠে ঢোকার কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না।