আই লিগে রানার্স ইস্টবেঙ্গল। মিলল সেরা হোম ম্যাচ আয়োজকের সম্মান। — ফাইল চিত্র।
রানার্স হয়েও ইস্টবেঙ্গল পেল বড় পুরস্কার। এআইএফএফ-এর বিচারে সেরা হোম ম্যাচ আয়োজকের সম্মান পেল কোয়েস ইস্টবেঙ্গল।
ইস্ট-মোহন ম্যাচ আই লিগের সবচেয়ে বড় বক্স অফিস। বাঙালির চির আবেগের ম্যাচ বাদ দিলে অন্যান্য ম্যাচে গ্যালারি ফোকলাই থেকে যায়। গত বছর পর্যন্ত এমন ছবিই দেখা গিয়েছে।
এ বার কোয়েস ইস্টবেঙ্গল বদলে দিয়েছে ছবিটা। দর্শকদের মাঠে টানার অভিনব সব উপায় বের করেছে। সমর্থকদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মাঠে সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছেন। প্রিয় দলের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন। মাঠে দর্শক টানা জন্য কী করা হয়েছিল?
১. টিকিটের দাম সাধারণ দর্শকের নাগালের মধ্যে আনা হয়েছিল।
২. ম্যাচের এক ঘণ্টা আগেও দর্শকরা টিকিট পেয়েছেন। ফলে অফিস ফেরত সমর্থকরা শেষ মুহূর্তে টিকিট কেটে মাঠে ঢুকতে পেরেছেন।
৩. প্রিয় ফুটবলাররা ক্লাবের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুপার কাপ নিয়ে ফেডারেশনকে চিঠি, শর্ত দিল আই লিগ ক্লাবগুলো
৪. কোয়েসের চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাকও সমর্থকদের ক্লাবের পাশে থাকার অনুরোধ জানান। তাঁর আবেদনে সাড়া দেন সমর্থকরাও।
৫. টিকিটের মাধ্যমে লটারির আয়োজন করা হয়েছিল। সমর্থকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ফুটবলারদের সই করা জার্সি।
৬) দর্শকদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটা মাথায় রাখা হয়েছিল।
ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক রাহুল ভট্টাচার্য বলছিলেন, ‘‘এবার কোয়েস নতুন দায়িত্ব নিয়েছে। কেমন কাজ করছে, সেটা দেখারও কৌতূহল ছিল। তা ছাড়া ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ছিল। ফলে সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল। সমর্থকদের উৎসাহটা দারুণ ভাবে কাজে লাগানো হয়েছে। শেষ হোম ম্যাচে সমর্থকদের টিফো নিয়ে মাঠে আসার আবেদন জানানো হয়েছিল। খুব জনপ্রিয় হয়েছিল ব্যাপারটা।’’
শেষ দিন পর্যন্ত আইলিগ ঘরে তোলার লড়াইয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। রানার্স হলেও সমর্থকদের মন জিতে নেয় লাল-হলুদ। তারই পুরস্কার মিলল ফেডারেশনের থেকে। অল্পের জন্য আই লিগ হাতছাড়া হলেও হোম ম্যাচ আয়োজনের দিক থেকে সেরার মুকুট মিলল ইস্টবেঙ্গলের।