India

East Bengal: ক্লাবে এসে প্রাক্তনদের চুক্তিপত্র দেখে যাওয়ার অনুরোধ ইস্টবেঙ্গলের

সুকুমার সমাজপতি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্লাবের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২১ ২১:৪৭
Share:

বিতর্ক এড়াতে প্রাক্তনদের চুক্তিপত্র দেখার আমন্ত্রণ জানালেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তারা। ফাইল চিত্র

চুক্তিপত্রে সই নিয়ে বিতর্কে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাদের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে চাইছে।

Advertisement

তিন প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলার রঞ্জিজয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্লাবের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন চুক্তিপত্র দেখে নিজেদের মতামত জানান। প্রাক্তনরা অবশ্য এই ব্যাপারে ক্লাবে যাওয়া নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত।

মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সভাপতি প্রণব দাশগুপ্তের নেতৃত্বে কার্যকরী সমিতির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২৩ জুলাই, শুক্রবার কার্যকরী সমিতির পরবর্তী বৈঠকে সমাজপতি এবং চন্দনকে আসার জন্য অনুরোধ করা হবে। চুক্তিপত্রে ক্লাবের সই করা, বা না করা নিয়ে তাঁদের মতামত জানানোর জন্য বলা হবে।

Advertisement

লাল-হলুদ কর্তাদের দেওয়া চিঠি।

মনোরঞ্জন এবং সম্বরণকে অনুরোধ করা হবে, তাঁরা ক্লাবে এসে চুক্তিপত্র দেখে যান। তারপর কেন ক্লাব এই চুক্তিপত্রে সই করছে না, সে ব্যাপারে তাঁদের মতামত জানান।

মনোরঞ্জন ক্লাবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন। যদিও তিনি এখনও ঠিক করেননি, যাবেন কিনা। বললেন, ‘‘প্রাক্তনদের যদি গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেটা ভাল তো। চুক্তিপত্র নিয়ে কারও তেমন ধারণা নেই। কারও যদি ইচ্ছে হয় বিষয়টা জানার, তা হলে সে যেতেই পারে। এটা ক্লাব থেকে ভালই করেছে। আমি যাব কিনা এখনও ঠিক করিনি।’’

সম্বরণ জানিয়ে দিলেন, তিনি যাবেন। তাঁর বক্তব্য ‘‘অবশ্যই যাব। আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে। এই ক্লাবের প্রতি আমার একটা আবেগ আছে, দুর্বলতা আছে। তাই নিশ্চয়ই যাব। ক্লাবের খারাপ সময় যাচ্ছে। ক্লাবকে সব রকম ভাবে সাহায্য করাই আমাদের উচিত।’’ কবে যাবেন, সেটা অবশ্য তিনি এখনও ঠিক করেননি।

চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে অগণিত লাল-হলুদ সমর্থক। ফাইল চিত্র

সমাজপতি বললেন, ‘‘ক্লাবকে খুব ভালবেসেছি। যারা খেলেছে, তাদের আপনিই এই ভালবাসা তৈরি হয়ে যায়। আমি ছ’-সাত বছর ইস্টবেঙ্গলে খেলেছি। রোজ যে টানাপোড়েন দেখছি, সেটা ভাল লাগছে না। দু’ পক্ষই যদি নিজেদের অবস্থান থেকে একটু নরম হয়, সেটাই সব থেকে ভাল হবে। ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ লক্ষ সমর্থক অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে গত বার ইস্টবেঙ্গল শেষ মুহূর্তে আইএসএল-এ খেলার সুযোগ পেয়েছিল। সে কথা তুলে ধরে সমাজপতি বললেন, ‘‘উনি যদি দু’জন প্রতিনিধি পাঠিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার উদ্যোগ নেন, তাতে হয়ত কাজ দেবে।’’

তবে তিনি ক্লাবে যাবেন না। বললেন, ‘‘আমরা গিয়ে কী করব? সবাই তো নিজেদের স্বার্থ দেখছে। আমরা গিয়ে ক্লাবের প্রতি ভালবাসা থেকে এমন কিছু কথা হয়ত বলব, যেটা কোনও পক্ষেরই পছন্দ হবে না। আমি চাই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডান তিনটি ক্লাবেরই ভাল হোক। এই তিনটি ক্লাবের সঙ্গে বাঙালির আবেগ জড়িয়ে আছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement