আক্রমণাত্মক জিতেনকে রোখার চেষ্টা ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। ছবি: মহামেডান সৌজন্যে।
জমে গেল কলকাতা লিগ। কলকাতা লিগের মিনি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-২ গোলে আটকে দিল মহামেডান স্পোর্টিং। শুধু ইস্টবেঙ্গলকেই আটকাল না, লিগ জয়ের দৌড়ে লাল-হলুদের অন্যতম প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকেও সুবিধা করে দিল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ছেলেরা।
তবে, মহামেডানের কাছে আটকে গেলেও এ দিন অনবদ্য ফুটবল খেলে লাল-হলুদের মাঝমাঠ এবং আক্রমণ ভাগ। ম্যাচের শুরু থেকেই এ দিন আগ্রাসী ছিল ইস্টবেঙ্গলের তরুণ তুর্কীরা। যার প্রমাণ মেলে ম্যাচ শুরুর দশ মিনিটের মধ্যে। ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় মহম্মদ রফিকের তোলা ফ্রি-কিক বুক দিয়ে নামিয়ে সাইডভলিতে জালে জড়িয়ে দেন সিরিয়ান মিডফিল্ডার আল-আমনা। ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। এরই মধ্যে লাল-হলুদের একটি শট ফিরে আসে ক্রসপিসে লেগে। কল্যাণীর ভরা স্টেডিয়ামে লাল-হলুদ জনতা যখন প্রহর গুনছে দ্বিতীয় গোলের তখনই খেলার গতির বিপক্ষে গোল শোধ করে যান মহামেডানের জিতেন মুর্মু। প্রথমার্ধের শেষে খেলার ফল ছিল ১-১।
আরও পড়ুন: বলটা এই ভাবে করো, শাদাবকে শেখালেন তাহির
আরও পড়ুন: ধর্ষণের দায়ে ১৮ বছরের জেল দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের
যে গতিতে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়ে ছিল, সেখান থেকেই শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে লাল-হলুদ। তবে, মহামেডানের গোল দুর্গে গিয়ে বার বার খেই হারিয়ে ফেলেন জবি জাস্টিন-লালরামরা। এরই সুযোগে প্রতি আক্রমণে এসে সাদা-কালোকে ম্যাচে লিড এনে দেন দিপান্ডা ডিকা। ম্যাচ যখন প্রায় শেষের মুখে তখন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা সূচক গোলটি করেন লাল-হলুদের উইলিস প্লাজা।
এ দিনের ম্যাচে মহামেডানের বিরুদ্ধে ড্র করার কিছুটা ব্যাক ফুটে পড়ে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ফলে বর্তমানে দুই দলেরই পাখির চোখ মরসুমের প্রথম ডার্বির দিকে। ২৪ সেপ্টেম্বরের মহা ডার্বিই ঠিক করে দেবে এ বারের কলকাতার সেরা হবে কোন দল!