হাড্ডাহাড্ডি: খেলার এক মুহূর্ত। নিজস্ব চিত্র
বিশ্বকাপ ফুটবলে শুক্রবার ছিল বিরতির দিন। তবে ওই সন্ধ্যাতেও ফুটবলে মেতে রইল কোন্নগর। এখানে অনূর্ধ্ব-১৯ প্রীতি ফুটবলে মুখোমুখি হল কলকাতা ময়দানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব—ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। সবুজ মেরুনকে ২-১ গোলে হারিয়ে বাজিমাত করল লাল-হলুদ।
কোন্নগরের শকুন্তলা কালীবাড়ি লাগোয়া মাঠে খেলাটি হল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রথম বর্ষপূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে। উদ্যোক্তা— উত্তরপাড়া থানা। ছোট মাঠ। ম্যাচ হল সেভেন-এ-সাইড। মাঠের হাল খুব একটা ভাল না-হলেও দু’দলের ছোটরাই জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন শুরু থেকে। ফ্লাডলাইটে জমজমাট খেলা দেখতে দু’দলের সমর্থকেরাই মাঠ ভরিয়ে তোলেন। আশপাশের এলাকা থেকে তো বটেই, অন্য জেলা থেকেও এসেছিলেন দু’দলের সমর্থকেরা।
মোহনবাগানের দলটির কোচ ছিলেন জো পল আনচেরি। ইস্টবেঙ্গলের রঞ্জন চৌধুরী। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মোহনবাগানের পুলক বড়ুয়া। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সমতা ফেরান গুরমুখ সিংহ। ডান পায়ের সুন্দর প্লেসিংয়ে গোল করেন পঞ্জাবি তরুণটি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইস্টবেঙ্গলের মনোজ মহম্মদের শট মোহনবাগানের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে জড়িয়ে যায়।
খেলা শেষ হতেই রীতিমতো ব্যান্ডপার্টি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন লাল-হলুদ সমর্থকরা। সঙ্গে ফেস্টুন, পতাকা, আতসবাজি— কী নেই! অনেক তরুণীকেও আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেল। লাল-হলুদ আবির উড়ল। আতসবাজি পুড়ল। ম্যাচকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পুলিশও যথাসাধ্য আয়োজনের চেষ্টা করেছিল। ধারাভাষ্য দেওয়া হচ্ছিল। ড্রোন উড়ল। বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থাও হয়েছিল।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার, ডিসি (সদর) বৈভব তিওয়ারি, এডিসিপি (শ্রীরামপুর) অম্লান ঘোষ, বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, স্নেহাশিস চক্রবর্তী প্রমুখ। খেলা শেষে উদ্যোক্তাদের তরফে দু’দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হল। বিশ্বকাপের বাজারে কোন্নগরের মাঠ উপভোগ করল ইস্ট-মোহনের লড়াইও।