ফেড কাপে নেমেই হার ইস্টবেঙ্গলের

রবিবারের শিলং এখন মর্গ্যানের আতঙ্ক

তাঁর প্রথম ইনিংসে লাজং কাঁটা খচখচ করত সাফল্যের মাঝেও। সেই লাজং জুজু সাময়িক লাল-হলুদ শিবির থেকে বিদায় নিয়েছিল মার্কোস ফালোপা, আর্মান্দো কোলাসো জমানায়। কিন্তু ট্রেভর জেমস মর্গ্যান ইস্টবেঙ্গলে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে এসে ফের অনুভব করছেন লাজং কাঁটা এখনও বিছানো রয়েছে তাঁর চলার রাস্তায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৬ ০২:০৬
Share:

লাল-হলুদ জালে ঢুকছে লাজংয়ের প্রথম গোল। রবিবার।-নিজস্ব চিত্র

লাজং এফসি-২ : ইস্টবেঙ্গল-১

Advertisement

(চিঙ্গলেনসানা, পেনা) (ডং)

লাজং কাঁটা গেঁথে আছে আজও!

Advertisement

ফেড কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের অ্যাওয়ে ম্যাচের শিরোনাম হতে পারে এটাই।

তাঁর প্রথম ইনিংসে লাজং কাঁটা খচখচ করত সাফল্যের মাঝেও। সেই লাজং জুজু সাময়িক লাল-হলুদ শিবির থেকে বিদায় নিয়েছিল মার্কোস ফালোপা, আর্মান্দো কোলাসো জমানায়। কিন্তু ট্রেভর জেমস মর্গ্যান ইস্টবেঙ্গলে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে এসে ফের অনুভব করছেন লাজং কাঁটা এখনও বিছানো রয়েছে তাঁর চলার রাস্তায়। পারথের বাড়ি থেকে উড়ে এসে মেহতাব-খাবরাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর পরপর দুই রবিবার লাজংয়ের কাছেই হারতে হল ব্রিটিশ কোচের ইস্টবেঙ্গলকে। এ দিন আবার অবিনাশ রুইদাসের মুখে কনুই চালিয়ে লাজংয়ের রবিন গুরুং লাল কার্ড দেখায় শেষ দশ মিনিট দশ জনে খেলল লাজং। কিন্তু তাতেও পাহাড়ে হারের ধাক্কা দ্বিতীয় বারেও এড়াতে পারেনি মর্গ্যান ব্রিগেড।

আগের রবিবারেরটা ছিল আই লিগে নিয়মরক্ষার ম্যাচ। কিন্তু এই রবিবার তো নতুন টুর্নামেন্ট ফেড কাপে মর্গ্যানের সূচনার ম্যাচ। যে টুর্নামেন্ট জেতার জন্য লাল-হলুদ ফুটবলারদের ভিতরে ভিতরে কয়েক দিন ধরে তাতাতে শুরু করে দিয়েছিলেন সাহেব কোচ। কিন্তু অর্ণব মণ্ডল-র‌্যান্টি মার্টিন্সরা সেই ভোকাল টনিকে তাতলেন কোথায়? পদত্যাগী কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের আমলে দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না বলে দীপক মণ্ডল নানা নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি করতেন বলে লাল-হলুদ ড্রেসিংরুম সূত্রেরই খবর। কিন্তু এ দিন পাহাড়ে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের দু’গোল খাওয়ার পিছনে দীপকের ‘অবদান’ বেশি। তাঁর ভুলের সুযোগ নিয়েই প্রথমার্ধে বিপিনের কর্নার থেকে হেডে গোল করে চলে যান চিঙ্গলেনসানা। দ্বিতীয়ার্ধে ফাবিও পেনা যখন লাজংকে ২-১ এগিয়ে দেন তখনও দীপকের ভুল প্রকট।

ম্যাচ শেষে মর্গ্যানের গলায় হতাশা। বলছিলেন, ‘‘গোলগুলো ওদের প্রায় গিফট করলাম আমরা। ডিফেন্সের দোষেই হারতে হল আজ। তবে একটা অ্যাওয়ে গোল করে রাখার সুবিধে পাব ঘরের মাঠে সেকেন্ড লেগে। সেই ম্যাচের আগে হাতে এখনও তিনটে দিন আছে। আশা করি এর মধ্যে আমাদের ভুলগুলো শুধরে নেওয়া যাবে।’’

এ দিন শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও প্রথমার্ধের শেষ দিকে র‌্যান্টির দুরন্ত পাস থেকে হেডে সমতা ফিরিয়েছিলেন ডং। আশা করা গিয়েছিল ১-১ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও জাঁকিয়ে ম্যাচে ফিরবে লাল-হলুদ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধটা তেড়েফুঁড়ে শুরু করলেও গোল পাননি র‌্যান্টিরা।

এ দিন ম্যাচে অবিনাশ আহত হওয়ায় তাঁকে মাঠ থেকে সটান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে দলের সঙ্গে শিলং যাওয়া ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য ফোনে বললেন, ‘‘অবিনাশের নাকে চারটে সেলাই পড়েছে। তবে আপাতত বিপন্মুক্ত ও।’’

লাল-হলুদ শিবির সূত্রে খবর, তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসে টিম গড়তে গিয়ে মেহতাব-খাবরাদের মতো পুরনো ছাত্রদের উপর একটু বেশিই নির্ভর করছেন মর্গ্যান। ছ’বছর আগে প্রথম বার ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নেওয়ার সময় ওই ছাত্রদের বয়সও এখনকার থেকে ছ’বছর কম ছিল। সেটা মাথায় রাখতে হবে ব্রিটিশ কোচকে। না হলে দুঃসময় আবার কখন হানা দেয় মর্গ্যানের ভাগ্যে, কে জানে!

ইস্টবেঙ্গল: রেহনেশ, দীপক, অর্ণব, বেলো, নারায়ণ, তুলুঙ্গা (সঞ্জু), মেহতাব, খাবরা, লালরিন্দিকা, ডং (অবিনাশ, রফিক), র‌্যান্টি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement