দু ওভার। শূন্য রান। চার উইকেট।
না, কোনও পাড়া ক্রিকেটের নয়, রঞ্জি ট্রফিতে অসমের বিরুদ্ধে বুধবার অশোক দিন্দার বোলিং পরিসংখ্যান। যে বোমাটা আছড়ে পড়তেই অসমের ইনিংস বিস্ফোরণে ছাড়খার। কতটা? সেটা তাদের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের রান দেখলেই পরিষ্কার হবে। ০-১-০-০।
বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলার পেসারের এই বিধ্বংসী স্পেলে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে মনোজ তিওয়ারিদের। দিন্দার দাপটে দ্বিতীয় দিনের শেষে অসমের স্কোর চার উইকেট হারিয়ে এক রান।
এখনও বাংলা এগিয়ে ৪৪৩ রানে। আগের দিন ১৯১-৪ থেকে বাংলা এ দিন ইনিংস ছেড়ে দেয় ৪৪৪-৬। যার পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা শ্রীবৎস গোস্বামী (১১২ ন.আ) ও পঙ্কজ সাউর (৯৯)। ষষ্ঠ উইকেটে দু’জনের ১৭৪ রানের পার্টনারশিপই বাংলার ইনিংসকে আরও শক্ত জমির উপর দাঁড় করিয়ে দেয়। লক্ষ্মিরতন শুক্লকে (২১) গোকুল শর্মা ফেরানোর পর অসমের বোলিংকে নির্বিষ করে ফেলেন শ্রীবৎস-পঙ্কজ জুটি । যার নেপথ্যে প্রধান কারিগর ২৫৩ বলে ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে সেঞ্চুরি করা শ্রীবৎস। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত ছিল পঙ্কজের। কিন্তু মাত্র এক রানের তিনি সেঞ্চুরি ফস্কান। তার আগে অবশ্য একটি ছক্কা আর ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮৯ বলে ৯৯ রানের দাপট দেখিয়ে যান পঙ্কজ। সৈয়দ মহম্মদের বলে পঙ্কজ ফিরে যাওয়ার পর আমির গনি ৪৩ বলে অপরাজিত ৩৩ রানে বাংলার ইনিংসকে আরও মজবুত করেন।
বাংলার ব্যাটসম্যানদের দাপট এ দিন ঠিক কতটা ছিল সেটা অসমের বোলারদের এ দিনের বোলিং পরিসংখানেই পরিষ্কার। এ মরসুমে অসমের রঞ্জি অভিযানে সেরা বোলিং তারকা কৃষ্ণ দাস পান মাত্র দু’ইকেট। আগের ম্যাচেই কল্যাণীতে ওড়িশার বিরুদ্ধে দিন্দার সাত উইকেট তুলে নেওয়ার পারফরম্যান্স সত্ত্বেও অনেকে সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন অসমান বাউন্সে ভরা পিচ থেকে সাহায্য পেয়েছেন। এ দিন কিন্তু দিন্দা প্রমাণ করে দিলেন ফর্মে থাকলে শুধু ঘরের মাঠে নয়, তিনি অ্যাওয়ে ম্যাচেও কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। বাংলার সামনে এখন টার্গেট যত দ্রুত সম্ভব তৃতীয় দিন অসমের বাকি ছ’উইকেট ফেলে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া। তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করলেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে মনোজ তিওয়ারিদের।