এক প্রকার ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বুধবার রাতে সিএবি ঘোষণা করেছিল তাঁদের দু’জনের নাম। সিএবিতে দাঁড়িয়ে সেই ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ শামির নাম রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচের জন্য ঘোষণা করার সময় মুখে যুদ্ধজয়ের হাসি ছিল বঙ্গ ক্রিকেটের কর্তাদের মুখে।
কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সংশ্লিষ্ট দুই ক্রিকেটার বুধবার রাতে নাকি এই খবর জানতেই পারেননি। দিল্লির বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে সন্ধে সোয়া সাতটার উড়ানে পুণে উড়ে গেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। তা-ও বিকেল সাড়ে চারটের সময় পুণে যাওয়ার সবুজ-সঙ্কেত নাকি পান তিনি। আর মহম্মদ শামি? এ দিন দলের সঙ্গে যাননি বাংলার এই জোরে বোলার। তাঁকে নাকি সারাদিন ফোনেই পাওয়া যায়নি। কোথায় রয়েছেন তিনি তা নিয়েও বিকেল পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। রাতে জানা যায়, তিনি নাকি বাংলার বাইরে রয়েছেন। দলের সঙ্গে পুণে যাননি পেসার অশোক ডিন্ডাও। দু’জনেই শুক্রবার যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। এ দিন ঋদ্ধিমানের পুণে যাওয়া নিয়েও নাটক অব্যাহত। কলকাতা বিমানবন্দরে সন্ধে ছ’টা কুড়িতে হন্তদন্ত হয়ে ঢুকে ঋদ্ধি বলেন, ‘‘বিকেল সাড়ে চারটের সময় আমি পুণে উড়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছি বোর্ডের থেকে। খবরটি পেয়েই আমাকে বেরিয়ে পড়তে হয়েছে বিমানবন্দরের উদ্দেশে।’’
প্রশ্ন উঠছে, গত রাতে শামি ও ঋদ্ধিমান রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে খেলছেন জানার পরেও কেন দু’জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। কেনই বা ঋদ্ধি এ দিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ পুণে যাওয়ার সবুজ-সঙ্কেত পেলেন?
রাতে সিএবি যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়া জানিয়েছেন, ‘‘শামি আজ দলের সঙ্গে যায়নি। কারণ এই মুহূর্তে ও উত্তরপ্রদেশে। ওর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। শুক্রবার দলের সঙ্গে যোগ দেবে ও। আর ঋদ্ধির সঙ্গে সকাল থেকেই কথাবার্তা চলছিল। বোর্ডের সম্মতি না জেনে ও যেতে পারছিল না। সেটা পেতে দুপুর হয়ে গিয়েছে।’’ এ দিন দলের সঙ্গে পুণে উড়ে যাওয়ার আগে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘দলে শামিকে পেয়ে বোলিং বিভাগের শক্তি বেড়েছে। ঋদ্ধির কোনও বিকল্প হয় না। ফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমাদের। বিপক্ষে কারা খেলছে তা নিয়ে ভাবতে চাই না।’’