অসুস্থতা আর চোটে বছর তিনেক আগে যিনি টেনিস থেকে অবসরই নিয়ে ফেলেছিলেন, সে রকম এক প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হেরে উপর্যুপরি দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যামের দ্বিতীয় রাউন্ডে ছিটকে গেলেন এ বছরের ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন মুগুরুজা। বিশ্বের তিন নম্বর স্প্যানিশ মেয়ের দেশোয়ালি মহাতারকার যে ম্যাচ ছাদ ঢাকা আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ হওয়ার ঐতিহাসিক নজির হয়ে থাকল, নাদালের সেই রাউন্ডের ঠিক আগে ওই সেন্টার কোর্টেই অনামী লাতভিয়ান মেয়ে আনাস্তাসিয়া সেভাতোভার কাছে ৫-৭, ৪-৬ স্ট্রেট সেটে হারেন মুগুরুজা।
তৃতীয় বাছাই মুগুরুজার বিদায় যদি চলতি যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে মেয়েদের সিঙ্গলসে এ যাবত বৃহত্তম অঘটন হয়, তা হলে পুরুষ সিঙ্গলসে এ পর্যন্ত ইন্দ্রপতন রাওনিকের হার। পঞ্চম বাছাই কানাডিয়ান এ বছরের উইম্বলডন ফাইনালিস্ট। তিনি আবার নতুন তৈরি গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে হারেন দ্বিতীয় রাউন্ডে মার্কিন কোয়ালিফায়ার রায়ান হ্যারিসনের কাছে। ৭-৬ (৭-৪), ৫-৭, ৫-৭, ১-৬। তবে জন ম্যাকেনরোর সদ্য প্রাক্তন ছাত্রের হারের পিছনে ম্যাচ চলাকালীন তাঁর হাত-পায়ের ক্র্যাম্পও বড় কারণ। তৃতীয় সেটে রাওনিক ‘মেডিক্যাল টাইম-আউট’ নিয়ে বাঁ-হাতের কব্জিতে শুশ্রূষা নেন। দু’পা-এ ম্যাসাজও নিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যে বুম-বুম সার্ভিসের জন্য তিনি বিখ্যাত, সেটা তৃতীয় সেট থেকে অর্ধেক গতিতে নেমে আসে। এই ম্যাচে রাওনিকের দ্রুততম সার্ভ ঘণ্টায় ১৫৫ মাইল। অথচ চতুর্থ সেটে তিনি ৭৭ মাইলে প্রথম সার্ভ করেন। ওই সেটে রাওনিক পান একটি গেম। ডাবলসে ভারতীয়দের অভিযান ভাল ভাবে শুরু হয়েছে। লিয়েন্ডার, সানিয়া, বোপান্না— তিন জনই প্রথম ম্যাচ জেতেন। স্ট্রাইকোভাকে জুটি নিয়ে প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে মেয়েদের ডাবলসে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা দেন বিশ্বের এক নম্বর সানিয়া। মিক্সড ডাবলসে গত বারের চ্যাম্পিয়ন লিয়েন্ডার-হিঙ্গিস প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকেছেন। পুরুষ ডাবলসে বোপান্না ও ডেনমার্কের নিয়েলসেন জুটিও দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছন। ‘সান্টিনা’ জুটি ভাঙার পরে সানিয়া ও হিঙ্গিসের নিউইয়র্কে সেমিফাইনালে সামনাসামনি পড়ার সুযোগ।