সিরিজ জয়ের পর।—ছবি এপি।
শিখর ধওয়ন ছন্দে ফিরে আসায় খুশি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। তবে ওপেনারের লড়াইয়ে শিখরের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে কে এল রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করে দেওয়াকে সমর্থন করেন না তিনি।
আজ পুণেয় ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে বিরাট বলেন, ‘‘তিনজন ওপেনারই প্রচণ্ড শক্তিশালী। ছন্দে থাকা ক্রিকেটার দলে থাকার প্রচুর সুবিধা। হাতে বেশি বিকল্প থাকে। কিন্তু ক্রিকেটারদের মধ্যে এ ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করাও বন্ধ করা উচিত। ক্রিকেটে দলীয় সংহতি প্রয়োজন। দলের একজনের সঙ্গে অন্যের লড়াই তৈরি করার আমি বিরোধী।’’
কোহালি যদিও খুশি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জিতে ২০২০-র সূচনা করে। ভারত অধিনায়ক বলছিলেন, ‘‘যে রকম ভাবে বছর শুরু করতে চেয়েছিলাম, সেটাই হয়েছে। সিরিজের একটি ম্যাচে রান তাড়া করে জিতেছি। একটিতে বিপক্ষের রান তাড়া করার প্রয়াস আটকেছি।’’ যোগ করেন, ‘‘যে কোনও ম্যাচে ২০০ রানের লক্ষ্য দেওয়া সত্যি কঠিন। আমরা নিয়মিত সেটা করছি। আজ ভেবেছিলাম ১৮০ রান হবে। কিন্তু আমরা ২০০ করলাম। মুম্বইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২০০ হবে ভেবেছিলাম। করেছিলাম ২৩০। এটাই চালিয়ে যেতে হবে। এমন একটি দল হয়ে উঠতে চাই, যাদের প্রথমে ব্যাট করাতে দ্বিধা করবে বিপক্ষ।’’
আরও পড়ুন: কোহালিদের মতোই হতে চান লাবুশানে
এ দিন আট বলে অপরাজিত ২২ রান করেন শার্দূল ঠাকুর। মণীশ পাণ্ডে অপরাজিত ১৮ বলে ৩১ রানে। কোহালি খুশি তাঁরা রান পাওয়ায়। তাঁর কথায়, ‘‘মাঝের সারি ভেঙে পড়ার পরে মণীশ ও শার্দূল আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। এটাই দেখতে চেয়েছিলাম। সিনিয়ররা রান না পেলে এ ভাবেই উদাহরণ হয়ে উঠতে হবে তরুণদের।’’
ম্যাচের সেরা শার্দূল ঠাকুর বলেছেন, ‘‘বরাবরই ব্যাট করতে পছন্দ করি। ভারতের হয়ে খেলার পর থেকে ব্যাটিংয়ে আরও বেশি মনোনিবেশ করি। এখন আমি আত্মবিশ্বাসী। বোলিংয়ের সঙ্গে ব্যাট হাতেও সফল হতে চাই।’’
আরও পড়ুন: শিশুর মতো ভুল করেই হার: মেসি
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ সেরা নবদীপ সাইনি। ভারতীয় দলে খেলার পর থেকে খাদ্যাভ্যাসে মন দিয়েছেন। বলছিলেন, ‘ ‘গতি আমার অস্ত্র। সেই গতি ধরে রাখতে ফিটনেস ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন জরুরি। এখন সেটাই করছি।’’