ফাইল চিত্র।
করোনা অতিমারির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ২০২০-’২১ মরসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ভারতীয় বোর্ড। সোমবার বোর্ড জানিয়েছে, ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত ম্যাচ ফি দেওয়া হবে ক্রিকেটারদের। একই সঙ্গে আগামী মরসুমে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফিও বাড়ানো হয়েছে।
করোনার কারণে গত বছর প্রথম বার রঞ্জি ট্রফি না হওয়ায় অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারই আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন। যে কারণে দাবি উঠেছিল, এই ক্রিকেটারদের আর্থিক দিকটা যেন দেখে ভারতীয় বোর্ড। অনেকেই তাকিয়ে ছিলেন বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখার জন্য। সেই অপেক্ষার পালা শেষ হল সোমবার। ‘‘২০১৯-’২০ ঘরোয়া মরসুমে যোগ দেওয়া ক্রিকেটারদের করোনার প্রভাব পড়া ২০২০-’২১ মরসুমের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত ম্যাচ ফি দেওয়া হবে,’’ গণমাধ্যমে জানান বোর্ডের সচিব জয় শাহ।
সোমবার বোর্ডের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে ক্ষতিপূরণ এবং ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। ৪০-এর বেশি ম্যাচ খেলা রঞ্জি ক্রিকেটারদের প্রত্যেক দিনের ম্যাচ ফি প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তা বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। ফলে সেই ক্রিকেটার প্রতি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে পাবেন ২.৪ লাখ টাকা। যাঁরা ২১ থেকে ৪০টির মধ্যে ম্যাচ খেলেছেন, তাঁরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা। তার চেয়েও কম অভিজ্ঞতা যাঁদের, তাঁরা পাবেন প্রত্যেক দিন ৪০ হাজার টাকা।
বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে সিনিয়র পর্যায় পর্যন্ত দু’হাজারেরও বেশি পুরুষ ক্রিকেটার। বোর্ড সচিব আরও জানিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত ম্যাচ ফি দেওয়া হবে। এই ঘোষণা অনুযায়ী অনূর্ধ্ব-২৩ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটারেরা যথাক্রমে ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার টাকা করে পাবেন।
সোমবারের এই সিদ্ধান্তের আগে রঞ্জি ট্রফিতে এক জন প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটার পেতেন প্রত্যেক দিন ৩৫ হাজার টাকা। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির জন্য বোর্ড প্রতি ম্যাচে দেয় ১৭,৫০০ টাকা। বোর্ড আরও জানিয়েছে, মহিলা ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ১২,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। ম্যাচ ফি বাড়ানোর পরামর্শ ওয়ার্কিং কমিটি দিয়েছিল। যে কমিটিতে ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক
মহম্মদ আজ়হারউদ্দিনও।