বিরাট-কথা। তাঁকে নিয়ে করা অ্যানিমেশন চরিত্রের কাট আউটের সঙ্গে কোহলি। গুরগাঁওয়ে নিজের ওয়েবসাইটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। ছবি: পিটিআই
তাঁর অভিধানে নাকি চাপ শব্দটাই নেই। বলে দিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত্ ক্যাপ্টেন।
শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ হারানোর পর দিন রাঁচি থেকে নিজের শহরে ফিরে বললেন, “চাপ মনের একটা অবস্থা মাত্র। চাপ অনুভব করলে চাপে পড়ে যেতে হয়। কিন্তু খোলা মনে খেলতে নামলে এ সব ভুলে খেলাটায় মন দেওয়া যায়। তাই কখনও চাপ অনুভব করি না।”
আগের রাতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ব্রাউনওয়াশ করার পরের সকালেই নয়াদিল্লিতে নেমেই বিরাট ছুটলেন নিজের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। এই ওয়েবসাইটে তাঁর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ছাড়াও বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য ছবিও দেখা যাবে। এ ছাড়াও তাঁর মতো দেখতে এক অ্যানিমেশন চরিত্রেরও খোঁজ পেতে পারেন বিরাটের ওয়েবসাইটে।
এ দিন যার সূচনা করে সদ্য আইসিসি ওয়ান ডে র্যাঙ্কিংয়ে দুই নম্বরে উঠে আসা ব্যাটসম্যান বলেন বিশ্বকাপ নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা। “এখন যে ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশনের নিয়ম হয়েছে (৩০ গজ সীমার বাইরে গোটা ইনিংসেই সর্বাধিক মাত্র চার ফিল্ডার), তা অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাটসম্যানদের খুব একটা কাজে লাগবে না।”
কারণ বাখ্যা করতে গিয়ে বিরাট বলেন, “ওখানে বেশির ভাগই পেস সহায়ক উইকেট। এমন উইকেটে ব্যাটসম্যানরা এই নিয়মের তেমন সুবিধা পাবে বলে মনে হয় না। এই নিয়মে ব্যাটসম্যানরা বাড়তি সুবিধা পায় আমাদের উপমহাদেশে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে।” বিশ্বকাপে বরং অন্য ভাবে দেখছেন এই নিয়মকে। “অস্ট্রেলিয়ায় যেহেতু বোলাররা বাড়তি সুবিধা পায়, তাই এই নিয়মের ফলে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের লড়াই সমানে সমানে হবে।”
অস্ট্রেলিয়ায় কি ব্যাটিং অর্ডারে তাঁর প্রিয় তিন নম্বর জায়গায় ফিরে যাবেন? উত্তরে বিরাট বলেন, “জানি না। আমাকে এই সিরিজে যে ভূমিকা পালন করতে দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেছি। আমি তিন নম্বরে ফিরে যাব কি না, তা আমার বলার কথা নয় বোধহয়।”