জোকোভিচ ঠারেঠোরে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন নাদালের দিকে।
ফের ছন্দে নোভাক জোকোভিচ। শুক্রবার উইম্বলডন সেমিফাইনালে যদি রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে দেন, তা হলে ফের চলে যাবেন, উইম্বলডনের ফাইনালে।
২০১৫ সালের পরে ফের উইম্বলডনের সেমিফাইনালে খেলছেন ‘জোকার’। আর জোকোভিচ-নাদালের এই মেগা ম্যাচ ঘিরে আপাতত সরগরম টেনিস দুনিয়া।
প্রাক্তন এক নম্বর জোকোভিচ কোয়ার্টার ফাইনালে জাপানের কেই নিশিকোরিকে হারিয়েছেন, ৬-৩, ৩-৬, ৬-২, ৬-২। অন্য দিকে, টেনিস দুনিয়ার বর্তমান এক নম্বর খেলোয়াড় রাফায়েল নাদাল কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে এসেছেন হুয়ান মার্টিন দেল পোর্ত্রোকে। চার ঘণ্টা আটচল্লিশ মিনিটের যে ম্যাচের ফল নাদালের পক্ষে ৭-৫, ৬-৭, ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪। দু’জনের দ্বৈরথের পরিসংখ্যানে ২৬-২৫ এগিয়ে জোকোভিচ। সাত বছর আগে ২০১১ সালে উইম্বলডনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই টেনিস তারকা। যেখানে জিতেছিলেন জোকোভিচ। অন্য দিকে, গত মে মাসে রোম মাস্টার্সে দু’জনের শেষ সাক্ষাতে জিতেছিলেন নাদাল।
গত বছর সে ভাবে ছন্দে ছিলেন না জোকোভিচ। কোনও গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে গত বছর দেখা যায়নি তাঁকে। চোট-আঘাত ও পারিবারিক কারণে চেনা মেজাজে দাপাতে পারেননি কোর্টে। কিন্তু এ বার সেই জোকোভিচকেই সমীহ করছে টেনিস দুনিয়া।
তিন বারের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন প্রাক্তন টেনিস তারকা জন ম্যাকেনরো ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন, ‘‘ফের আগের নোভাককে দেখতে পাচ্ছি। ওর ভিতরে জমে থাকা আগুনটা বেরিয়ে আসছে কোর্টে। বলতে পারছি না ওঁকে থামানোর টোটকা কী হতে পারে। আর তার জন্যই সেমিফাইনাল ম্যাচটা অত্যন্ত উত্তেজনাময় হতে চলেছে।’’
নাদাল নিজেও বলছেন, ‘‘জোকোভিচ কোর্টে অত্যন্ত কঠিন প্রতিপক্ষ। ওঁর বিরুদ্ধে খেলাটা সব সময় উপভোগ করি। এ বারও করব।’’ উল্লেখ্য, ২০১০ সালের পরে আর উইম্বলডন জেতেননি নাদাল। তাই ঘাসের কোর্টে এ বার নিজেকে চেনানোর তাগিদে জোকোভিচের বিরুদ্ধে ঝাঁপাবেন তিনিও। ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন নাদাল সেমিফাইনালে জোকোভিচকে হারালে এগোবেন তাঁর ১৮তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়ের দিকে। য়েখানে তাঁর প্রতিপক্ষ হতে পারেন জন ইসনার বনাম কেভিন অ্যান্ডারসন দ্বৈরথের বিজয়ী।
এই পরিস্থিতিতে সার্বিয়ান টেনিস তারকা জোকোভিচও সেমিফাইনালে নাদালের বিরুদ্ধে নামার আগে ঠারেঠোরে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন নাদালের দিকে। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার উইম্বলডনে খেলার সময় ফের সেই প্রাণবন্ত মেজাজটা পাচ্ছি। গত বারো মাসের মধ্যে সেরা ছন্দে রয়েছি এই মুহূর্তে। ঘাসের কোর্টে এ বার পারফরম্যান্স বেশ ভাল। গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতার শেষ চারে বহু দিন খেলিনি। তাই এ বার সেমিফাইনালে উঠে আরও বেশি ভাল লাগছে।’’