রুদ্ধশ্বাস: উইম্বলডনে প্রত্যাবর্তন নোভাক জোকোভিচের। (ডান দিকে) শেষ চারে ওঠার পথে রাফায়েল নাদাল। বুধবার। ছবি: এএফপি, রয়টার্স
ফেডেরারের হারের দিনই উইম্বলডনে দুরন্ত ভাবে ফিরলেন নোভাক জোকোভিচ।
কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি হারালেন কেই নিশিকোরিকে। ফল ৬-৩, ৩-৬, ৬-২, ৬-২। ২০১৫-র পরে তিনি আবার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে উঠলেন। সেন্টার কোর্টে তাঁর জয়ের পরে পরীক্ষা শুরু হয় রাফায়েল নাদালের। স্প্যানিশ তারকা তাতে রক্ষা পেলেন। শেষ পর্যন্ত ৭-৫, ৬-৭ (৭-৯), ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪-এ তিনি খুয়ান মার্টিন দেল পোত্রোকে হারাতেই শেষ চারে মহালড়াই। জোকোভিচ বনাম নাদাল।
বুধবার জোকোভিচের জয়ের পরেই টেনিস বিশ্বে একটা প্রশ্ন ভাসছে, প্রাক্তন বিশ্বসেরা জোকোভিচ কী উইম্বলডনেই খেলোয়াড় জীবনের সেরা প্রত্যাবর্তনের পথে রয়েছেন?
প্রথম সেটে জোকোভিচ জেতার পরে তাঁর জাপানি প্রতিপক্ষ চারটি ব্রেকপয়েন্ট বাঁচিয়ে সমতা ফেরান। সার্বিয়ান তারকা তার পরের সেট জেতেন এবং চতুর্থ সেটে প্রতিপক্ষ প্রথমে তাঁর সার্ভিস ভেঙে এগিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে এসে সেট ও ম্যাচ দখল করে নেন তিনি। ম্যাচের পরে জোকোভিচ বলেন, ‘‘গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে ওঠার অনুভূতি সব সময়ই দারুণ। এই জায়গায় উঠে আসার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। কোর্টে ফেরার পরে গত কয়েক মাসে আমার টেনিস খেলার মান অনেক উন্নত হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এ বারই প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষ চারে উঠলাম, এমন নয়। তবে এ বার আমি চেষ্টা করব এই জয়টা আরও বেশি উপভোগ করার।’’
জোকোভিচের ম্যাচ ছিল এ দিন সেন্টার কোর্টে। ঘাসের কোর্টের গ্র্যান্ড স্ল্যামে নেমে তিনি যে ভক্তদের প্রত্যাশা রাখতে পেরেছেন তাতে আরও বেশি খুশি। তিনি বলেন, ‘‘এই কোর্টে খেলতে আমি বরাবরই খুব ভালবাসি। এই পর্যায়ের টেনিসে তুমুল লড়াই করাটাও আমার খুব পছন্দের। সেরা ছন্দে থাকার উইম্বলডনের চেয়ে ভাল সময় আর কী হতে পারে।’’
এই নিয়ে ৩২ নম্বর গ্ল্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনালে উঠলেন নোভাক। যে জায়গায় তাঁর পৌঁছনো নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন আগে। গত বার উইম্বলডনেই কোয়ার্টার ফাইনালে তিনি কনুইয়ে চোট পেয়ে হারেন। অস্ত্রোপচার হয়। এ মরসুমে কোনও ট্রফি জিততে পারেননি নোভাক। তাই উইম্বলডনে তাঁর সামনে ফাইনালে ওঠার সোনার সুযোগ এখন।