মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ফাইল চিত্র
তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। কেন তিনি নিজের পুরনো দলে ফিরতে চাইছেন? এই বিষয়ে একাধিক সমীকরণ সামনে আসছে। কেউ বলছেন নিজের ‘ভুল’ বুঝতে পেরে তিনি তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। বসিরহাটের হয়ে কাজ করতে চাইছেন। আবার ময়দানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে মহামেডান স্পোর্টিংয়ে ফের জমি শক্ত করার জন্যই নাকি তিনি ফের তৃণমূলের পতাকা ধরতে চান। সাদা-কালো শিবিরে যে রাজ্যের শাসক দলের আধিপত্য আছে, সেটা সবাই জানেন। সেই জন্যই কি তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন স্ট্রাইকার ‘ঘরে’ ফিরতে চাইছেন?
এই বিষয়ে আনন্দবাজার ডিজিটালের তরফ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটেছেন বসিরহাটের প্রাক্তন বিধায়ক। বলেছেন, “চিঠিতে যা লেখা আছে, সেটাই আমার বক্তব্য। এছাড়া এই বিষয়ে আপাতত কিছু বলার নেই।”
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন দীপেন্দু। কিন্তু এ বার তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। তাই অভিমানে তৃণমূল ছাড়ার পাশাপাশি ভোটের আগে বিজেপি-তেও যোগ দেন তিনি। তবে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করেনি। যদিও কয়েক দিন আগে নারদ মামলায় রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির ঘটনার প্রতিবাদ করেন দীপেন্দু। বিজেপি-র বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’ করার অভিযোগ তুলে তিনি দল ছাড়েন।
তবে নিজের ভুল বুঝতে পেরে ‘ঘরে’ ফেরার তালিকায় দীপেন্দু একা নন। সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, অমল আচার্য, বাচ্চু হাসদার মতো নেতা-নেত্রীরাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছেন।