মারাদোনা।
দিয়েগো মারাদোনার আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর আইনজীবী অ্যাঞ্জেলো পিসানি। কিংবদন্তি ফুটবলারের প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না তিনি। অ্যাঞ্জেলো অনেক বছর আগে ইটালিতে আয়করের ঝামেলা থেকে মারাদোনাকে বাঁচিয়ে ছিলেন। তাঁর মনে হচ্ছে, শেষের দিনগুলোয় মারাদোনা তাঁর পরিবার বা ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে কোনও রকম ভালবাসাই পাননি। একইসঙ্গে তিনি হতাশ বুয়েনোস আইরেসের চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও।
তাঁৱ মতে, নেপলসে চিকিৎসা হলে এত তাড়াতাড়ি হয়তো চলে যেতে হত না দিয়েগোকে। এক সাক্ষাৎকারে অ্যাঞ্জেলো বলেছেন, ‘‘প্রচারমাধ্যমের থেকে জানতে পারলাম, দিয়েগো আর্জেন্টিনায় খুবই নিঃসঙ্গ অবস্থায় ছিল। অস্ত্রোপচারের পরেও পরিবারের কেউ তেমন ভাবে পাশে ছিল না। সত্যিই যা অবিশ্বাস্য!’’
যোগ করেন, ‘‘নাপোলিতে থাকলে কখনওই ওকে এ রকম নিঃসঙ্গ অবস্থায় চলে যেতে হত না। চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল কি না সেটা হয়তো পরে জানা যাবে। কিন্তু মৃত্যুর আগের রাতে ঘুমোনোর সময় ওর সঙ্গে কেউ না থাকাটা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। সদ্য মস্তিষ্কে জটিল অস্ত্রোপচারের পরেও ওর সঙ্গে এই ব্যবহার, এক কথায় বিস্ময়কর। আমার তো মনে হয়, ওর পুত্র দিয়েগো জুনিয়রের কোভিড না থাকলে কখনওই এটা হত না। জুনিয়রেরও জানার অধিকার আছে, ঠিক কী ভাবে ওর বাবার মৃত্যু হয়েছে।’’
এখানেই থামেননি মারাদোনার প্রাক্তন আইনজীবী। বলেছেন, ‘‘শুনলাম সেই রাতে দিয়েগো একাই ঘুমিয়ে পড়েছিল। তার পরে কী ভাবে ওর মৃত্যু হল, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। আমার তো মনে হয়, নেপলসেই ওর সত্যিকারের বন্ধুরা আছে। এখানে (নেপলসে) চিকিৎসা হলে ও কিন্তু সবাইকে পাশে পেত। হয়তো ওর বাড়ির সামনেই রাত জেগে মানুষ প্রার্থনা করত।’’ এ দিকে, শেষকৃত্যের সময় দিয়েগো মারাদোনার কফিন খুলে তার পাশে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তোলায় তোপের মুখে পড়েছেন দুই কর্মী। ভক্তদের ক্ষোভের মুখে তাঁরা ভুল স্বীকারও করেছেন।