পিচ দেখছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি হঠাৎই হাজির। এই তো ছিলেন কলকাতায়। কল্যানীতে খেলছিলেন বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচ। ভারতীয় দল থেকে এই মুহূর্তে অনেক দূরে। তাই ক্রিকেটের সঙ্গে থাকার জন্য বেছে নিয়েছেন ডোমেস্টিক ক্রিকেটকে। কিন্তু ভারতীয় দল থেকে দূরে থেকেও যে থাকতে পারেন না তিনি। অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। ছেড়েছেন টেস্ট ক্রিকেট। এখন কোনও চিন্তা নেই দল নিয়ে। ওয়ান ডে-তে শুধু নিজের খেলাটাই খেলছেন। কিন্তু কয়েকদিন পরেই যে তাঁর ঘরের মাঠে ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টেস্ট। কী করে দূরে থাকবেন জাতীয় দল থেকে। তাই সরাসরি পৌঁছে গেলেন ঝাড়খণ্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে।
আরও খবর: আমি সবসময় বিশ্বের সেরা হতে চেয়েছি: বিরাট
১৬ মার্চ থেকে রাঁচিতে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট। এই মুহূর্তে চার ম্যাচের সিরিজ ১-১। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রাঁচি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ দুই দলের জন্য। এই ম্যাচ যে কোনও প্রকারে জিততে চাইবে দু’পক্ষই। তার উপর শেষ দুই ম্যাচে পুণে ও বেঙ্গালুরুর পিচ নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুণের পিচের দুর্দশা দেখার পর বেঙ্গালুরুর আয়োজকদের তরফে বলা হয়েছিল দ্বিতীয় টেস্টের পিচে প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিযোগিতা হয়তো হয়েছে কিন্তু ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে চার দিনেই। প্রথম টেস্ট সেষ হয়ে গিয়েছিল তিন দিনেরও কম সময়ে। তাঁর ঘরের মাঠে এমন কিছু ঘটুক চান না মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তাই বৃহস্পতিবার স্টেডিয়ামে পৌঁছেই সরাসরি চলে গেলেন পিচ দেখতে। হাতে এখনও ৬ দিন সময়। তার আগে কোনও সমস্যা থাকলে শুধরেও দিতে পারবেন অভিজ্ঞ ভারত অধিনায়ক। তাই পিচ দেখে কথাও বললেন পিচ কিউরেটরের সঙ্গে। যদিও পিচ কিউরেটর এসবি সিংহ জানিয়েছেন, এটা ধোনির স্বাভাবিক আসা। টেস্ট ম্যাচের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। বলেন, ‘‘ও যখন এখানে থাকে তখন নিজের ফিটনেস ট্রেনিংয়ের জন্য স্টেডিয়ামে আসে। জিমে দীর্ঘ সময় কাটায়। আজ কোনও ব্যাতিক্রম নয়। ও উইকেট দেখল আর স্বাভাবিক কথা বলল। আমার জন্য বিশেষ কোনও ঘটনা নয়।’’
ছুটি কাটাচ্ছেন ধোনি।
ঝাড়খণ্ডের পিচ কিউরেটর অবশ্য এটাই পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ধোনি কখনও পিচ তৈরিতে কান গলান না। বলেন, ‘‘গত চার বছরে ও কখনও পিচ তৈরি নিয়ে কোনও মতামত দেয়নি। ও একজন গ্রেট প্লেয়ার। আমি সব সময়ই ওর উপদেশের জন্য মুখিয়ে থাকি যাতে ভাল উইকেট তৈরি করতে পারি।’’ জেএসসিএ তিনটি উইকেট তৈরি করেছে। পিচ চার, পাঁচ ও সাত। স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী টেস্টের জন্য যাতে সঠিক পিচ তৈরি হয় সে জন্য কোনও বিকল্পই ছাড়ছে না কর্তৃপক্ষ। সব পিচই আলাদা আলাদা ধরনের। ম্যাচের দু’দিন আগে কোন পিচে খেলবে দু’পক্ষকে জানিয়ে দিতে হবে। পিচ ব্যাটিং ও বোলিং দু’য়ের কথা ভেবেই তারি করা হয়েছে। পাঁচদিন খেলা চলার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। যেটা প্রথন দুই টেস্টে হয়নি।