ফাইল চিত্র।
দেশের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আইপিএল-এর পুণে দলের অধিনায়কত্ব থেকেও। যেটা এসেছিল খুব হঠাৎ করেই। তাই হয়তো জবাবটা দিলেন মাঠেই। তাও আবার কলকাতার মাঠেই। এখন সব দায়িত্ব থেকে অনেক দূরে খোলা মনেই ক্রিকেট খেলার কথা তাঁর। দেশের হয়ে খেলেও ফেলেছেন। এ বার বাকি আইপিএল। কিন্তু বিজয় হাজারে ট্রফি খেলতে ঝাড়খণ্ডের অধিনায়ক হয়েই মাঠে নামতে হয়েছে ক্যাপ্টেন কুলকে। সেই ভারতীয় দলের জার্সিতে যে অধিনায়ককে দেখেছে পুরো বিশ্ব, তাঁকেই আবার ফিরে দেখল ইডেন। হাবেভাবে কোনও বদলই হয়নি। সেই অধিনায়কোচিত ঢঙেই রাজ্যকে সেঞ্চুরি উপহার দিলেন তাও আবার তাঁর প্রিয় ইডেন উদ্যানে। ১০৭ বলে ১২৯ রানের ইনিংস দেখার সৌভাগ্য যাঁদের হল তাঁরাই বলতে পারবেন দুই ধোনির মধ্যে যে কোনও পার্থক্যই নেই।
আরও খবর: বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বললেন সচিন
রবিবার ইডেনে টস জিতে ঝাড়খণ্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ছত্তিশগড়। শুরুটা আবারও ভাল করতে পারেননি ঈশান কিষান, সৌরভ তিওয়ারিরা। এর পর হাল ধরতে নামেন তিনি। ছ’নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১২৯ রানের ইনিংস খেলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ১০৭ বলে ১২৯ রানের এই ইনিংস সাজানো ছিল ছয় ছক্কা আর ১০টি বাউন্ডারিতে। আর তাঁর রানের সুবাদেই ঝাড়খণ্ড নির্ধারিত ৫০ ওভারে করে ২৪৩/৯।
পরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই শেষ হয়ে যায় ছত্তিসগঢ়ের ইনিংস। ৩৮.৫ ওভারে ১৬৫ রানে অল আউট। ধোনির ঝাড়খণ্ড জিতল ৭৮ রানে।
প্রথম ম্যাচে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে পাঁচ রানে হারতে হয়েছিল ধোনিবাহিনীকে। সেই ম্যাচে ধোনির ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৩ রান।