সোমবার থেকেই মিলবে ডার্বির টিকিট। শিলিগুড়ি থেকে সোমবার সকালেই কলকাতায় মোহন কর্তাদের হাতে টিকিট পৌঁছে যাবে। সবুজ মেরুনের তাঁবু থেকে সেই টিকিট বিক্রির কথাও রয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা থেকে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাউন্টারেও ডার্বির টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে। শনিবার শিলিগুড়িতে মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, ‘‘আরও টিকিট লাগলে সেই মতো পাঠানো হবে।’’
তবে ইস্টবেঙ্গলের কত টিকিট দরকার তা এখনও মোহনবাগানের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্রীড়া পরিষদের কাছে এসে পৌঁছয়নি। টিকিটের দাম রাখা হয়েছে ৩০০, ২০০, ১৫০ এবং ১০০ টাকা। ভিভিআইপি গ্যালারির চেয়ারের টিকিট ৫০০ টাকা করে। এই গ্যালারির মাত্র ৪৮০ টি টিকিট রয়েছে। এই ডার্বিতে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম মোহনবাগানের হোমগ্রাউন্ড হওয়ায় ম্যাচের সংগঠক তারাই। তাদের হয়ে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃপক্ষকে। রবিবার মোহনবাগানের জন্য টিকিট নিয়ে কলকাতায় রওনা হবেন ক্রীড়া পরিষদের এক কর্মকর্তা।
স্টেডিয়ামে ২, ৯, ১০ নম্বর গেটের অংশের গ্যালারি মোহনবাগান সমর্থকদের দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। তার মধ্যে দুই নম্বর গ্যালারি মাঠের ভিভিআইপি’র চেয়ার পাতা গ্যালারির পাশে। ৯ এবং ১০ নম্বর গেটের গ্যালারি মাঠের উল্টো দিকে। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই অংশে মোহনবাগান সমর্থকদের বসালে গ্যালারি ফেন্সিং দিয়ে আলাদা করার ব্যবস্থা করতে হবে। বাকি অংশে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের একটা বড় অংশ থাকায় খেলার উত্তেজনার জেরে বিবাদের সম্ভাবনা থাকতে পারে বলেই তারা মনে করছেন। এ দিন স্টেডিয়ামে গিয়ে আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে কথা বলেন পুলিশ কর্তারা। ৩ এপ্রিল পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশি নিরাপত্তার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
মাঠে জলের বোতল নিষিদ্ধ। শিলিগুড়িতে গত ডার্বিতে জলের পাউচও অনুমোদন করেনি সংগঠক ইস্টবেঙ্গল। এ বার মোহনবাগান হোমগ্রাউন্ড করে অবশ্য জলের পাউচ নিতে ছাড় দিচ্ছে। ৯ এপ্রিল গরম অনেকটাই পড়ার কথা। ঠিক হয়েছে ১০ টাকার ২০০ মিলিলিটারের চারটি পাউচ মিলবে। তা নিয়ে গ্যালারিতে যাওয়া যাবে।