কাঞ্চনজঙ্ঘায় ফের আই-লিগের ডার্বি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ সেভাবে উৎসাহ না দেখানোয় ম্যাচ হাতছাড়া হতে পারে বলে অভিযোগ উঠল।
এই নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে মোহনবাগান এবং ক্রীড়া পরিষদের মধ্যে। ইস্টবেঙ্গলের পর এ বার মোহনবাগান শিলিগুড়ির ওই মাঠে তাদের হোম ম্যাচ করাতে চায়। ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা এখনও হয়নি। ফলে ম্যাচ হওয়া নিয়ে আশঙ্কাও রয়েছে।
দু’পক্ষই চায় ডার্বি শিলিগুড়িতেই হোক। মোহনবাগানের এক প্রাক্তন সদস্য তথা শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের অন্যতম কর্মকর্তা অরূপ মজুমদারের মাধ্যমেই চলছে দুই পক্ষের কথা চালাচালি। তাঁর কথায়, ‘‘মোহনকর্তারা চাইছেন ম্যাচ করাতে। তাঁদের আগ্রহের কথা চিঠি দিয়ে জানানো হোক।’’
ক্রীড়া পরিষদের উপর ‘চাপ’ বাড়িয়ে মোহনবাগান ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার সুমন ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘাতেই ডার্বি করাতে চাই। আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে কথা চলছে। তবে ক্রীড়া পরিষদের তরফে এখনও সেভাবে তারা উৎসাহ দেখায়নি। বরং কটকে ডার্বি করাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়েছে।’’ শিলিগুড়ি না-হলে তারা ম্যাচ কটকে করাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ডার্বি হাতছাড়া হলে হতাশ হবেন উত্তরবঙ্গের ফুটবলপ্রেমীরা।
যুবভারতী স্টেডিয়াম অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের জন্য সংস্কার চলছে। রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে পুলিশ ডার্বি করাতে অনুমতি দিতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি না-হলে কটকে ডার্বির আয়োজন হতে চলেছে।
ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠে মোহনবাগানের এই হোম ম্যাচের আয়োজন নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের লোকজনও রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কলকাতার বাইরে সংগঠক হিসাবে ম্যাচ করাতে অপরিচিত জায়গায় দুটো ক্ষেত্রেই আমাদের একই সমস্যায় পড়তে হবে।
১২ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়িতে ডার্বি ম্যাচের সংগঠক হিসাবে ইস্টবেঙ্গলই সমস্ত দায়িত্ব সামলেছে। সাহায্য করেছে মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ। দুদিন পর ইস্টবেঙ্গল-লাজং ম্যাচের দায়িত্ব তারা ক্রীড়া পরিষদের হাতেই তুলে দিয়েছিল। তাতে লাভ হয়নি ক্রীড়া পরিষদের। এ বার ডার্বি হলে মূল দায়িত্ব তাই ক্রীড়া পরিষদ নিজদের হাতেই রাখতে চাইছে।
মোহনবাগান ক্লাব ও ক্রীড়া পরিষদের একটি সূত্রই জানিয়েছে, সংগঠকরা দায়িত্ব ছাড়ার ক্ষেত্রে অন্তত ১৫ লক্ষ টাকা চাইছেন। ক্রীড়া পরিষদ ১০ লক্ষ হলে রাজি। ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপ রতন ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের এগজিকিউটিভ কমিটির ওই সদস্যের মাধ্যমেই প্রাথমিক কথা এগিয়েছে। হোম ম্যাচের আয়োজন করতে ইস্টবেঙ্গল যেমন আলোচনা করেছিল মোহনবাগান এখনও করেনি। ডার্বি করাতে আমাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছি।’’