সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার হয়ে গোল করার পর ডেনসন দেবদাস। — ফাইল চিত্র।
এগারো বছর পরে বাংলায় সন্তোষ এনে দেওয়ার নায়ক তিনি। সে বারের ফাইনালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছিলেন। বহু যুদ্ধের সৈনিক ডেনসন দেবদাস চলতি মরসুমের প্রথম ম্যাচটা খেলবেন রবিবার।
এক সময়ে যে মাঠ ছিল তাঁর যৌবনের তপোবন, সেই মাঠেই ফিরছেন দেবদাস। এক সময়ে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে এই মাঠ মাতিয়েছেন তিনি। পরে আইএসএল, ভবানীপুর হয়ে এ বার জর্জ টেলিগ্রাফে দেবদাস। গত বুধবার জর্জের হয়ে সই করেছেন তিনি।
লিগে এর মধ্যেই জর্জ টেলিগ্রাফ খেলে ফেলেছে চার-চারটি ম্যাচ। ক্লাবের পঞ্চম ম্যাচ থেকে নামছেন দেবদাস। এত দেরি করে ফেললেন কেন? ডেনসন বলছেন, ‘‘চলতি বছরের গোড়ার দিকে আমার জন্ডিস হয়েছিল। বেশ বাড়াবাড়িই হয়েছিল। বেশ কয়েক কিলোগ্রাম ওজন কমে গিয়েছিল। খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম।’’ পুরোদস্তুর ফিট হতে বহু সময় খরচ হয় ডেনসনের। জন্ডিস থেকে ওঠার পরে বেশ কয়েক কিলোগ্রাম ওজন বাড়িয়ে ফেলেন তিনি। ডেনসন বলছিলেন, ‘‘ওজন বেড়ে যাওয়ায় আমাকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। ওজন কমানোর জন্য কঠিন পরিশ্রম করতাম।’’
আরও পড়ুন: এক ক্লাবে খেলা হল না, ‘শত্রু’ হয়েই থাকতে হচ্ছে মার্কোস-জোয়াকুইনকে
তাতে হয়েছিল উল্টো বিপত্তি। প্রায়ই পেশিতে চোট লাগছিল ডেনসনের। তাঁর কথায়, ‘‘সেই সময়টা খুব কঠিন ছিল। রঞ্জনদা (ভট্টাচার্য) তখন আমাকে খুব সাহায্য করেন। আমাকে ডেকে নিয়ে প্র্যাকটিস করাতেন।’’ জর্জ টেলিগ্রাফের সঙ্গেই অনুশীলন করছিলেন ডেনসন। খেলার মতো ফিটনেস লেভেলে পৌঁছতে পেরেছেন, তা বুঝতে পেরেই দেবদাসকে সই করান রঞ্জন।
ডেনসনের পুরনো ক্লাব মোহনবাগান এখন কলকাতা লিগে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। জর্জের থেকে একটা ম্যাচ বেশি খেলেছে কিবু ভিকুনার দল। ৫ ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট পেয়েছে বাগান-শিবির। সবুজ-মেরুনের স্পেনীয় ফুটবলাররা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছেন। গত ম্যাচে বেইতিয়াকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কিবু। জর্জের বিরুদ্ধে হয়তো নামবেন বেইতিয়া। কলকাতা ময়দানের অবস্থা এখন ভাল নয়। বৃষ্টিতে মাঠ ভারী হয়ে গিয়েছে। চোট আঘাতের আশঙ্কা থাকছে প্রায় সব ম্যাচেই। সমস্যা হবে না আপনার? অভিজ্ঞ ডেনসন বললেন, ‘‘বৃষ্টির সময়েই কলকাতা লিগ হয়। অনেক বছর ধরে খেলছি। দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে পরিস্থিতির সঙ্গে।’’
চেনা মাঠ, চেনা পরিবেশেই প্রত্যাবর্তনের লড়াই শুরু করছেন ডেনসন।