মণিকা বাত্রা ফেসবুক
এশিয়ান টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় টেবিল টেনিস ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন মণিকা বাত্রা। শুধু টেবিল টেনিস ফেডারেশন নয়, জাতীয় দলের কোচ সৌম্যদীপের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন মণিকা। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইল দিল্লি হাই কোর্ট।
টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়ের থেকে পরামর্শ নিতে অস্বীকার করায় মণিকাকে কারণ দর্শাতে বলে টেবিল টেনিস ফেডারেশন। সেই চিঠির জবাব দিতে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মণিকা। ভারতীয় দলের কোচের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটা করার অভিযোগ আনেন তিনি।
মণিকার করা মামলায় বিচারপতি রেখা পাল্লি মনে করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল।
দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন মণিকা ফেসবুক
বিচারপতি বলেন, ‘‘মণিকার র্যাঙ্কিং সবচেয়ে ভাল। তিনি যখন কোচের বিরুদ্ধে এত বড় একটা অভিযোগ করছেন, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।’’
মণিকার আইনজীবী সচিন দত্ত বলেন, ‘‘মণিকা এশিয়ান টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাওয়ার সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। শুধু শিবিরে যোগ দেয়নি বলে ওকে বাদ পড়তে হয়েছে। এই নিয়ম অবিলম্বে বদলে ফেলা হোক। মেধার ভিত্তিতে দল নির্বাচন করা হোক।’’
এর পাশাপাশি, মণিকা যাতে এই ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত কোচ নিয়ে খেলতে পারেন, তার জন্যও অনুমতি চাওয়া হয়েছে পিটিশনে।
সৌম্যদীপ কী করে একজন জাতীয় দলের কোচ হয়েও নিজের অ্যাকাডেমি চালাতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মণিকা। গড়াপেটার প্রস্তাবের কথা বলতে গিয়ে হলফনামায় মণিকা জানিয়েছেন, ‘‘চলতি বছরের ১৮ মার্চ এশিয়ান অলিম্পিক্স কোয়ালিফিকেশনের সময় আমাকে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, যাতে সৌম্যদীপের অ্যাকাডেমির একজন মেয়ে অলিম্পিক্সে সুযোগ পায়। আমি এই অনৈতিক কাজ করতে পারব না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম।’’
অলিম্পিক্সেও তাই সৌম্যদীপের পরামর্শ নিতে অস্বীকার করেন মণিকা। এরপর টোকিয়ো থেকে ফেরার পর বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারতের টেবিল টেনিস ফেডারেশন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় শিবিরে যোগ না দিলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলা যাবে না। রবিবার এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই দিল্লি আদালতে মামলা করেন মণিকা।