সাও পাওলো ওয়ান্ডারকিড।
ব্রাজিল বম্বার।
নেইমার জুনিয়রকে এ রকম বেশ কিছু নামে চেনে ফুটবল দুনিয়া। চেনে, তাঁর ঐশ্বরিক স্কিলের জন্য। ডিফেন্ডারদের নাকানিচোবানি খাইয়ে গোল করার অসামান্য ক্ষমতার জন্য। এবং নেইমারের সামনে পড়লে ডিফেন্ডারদের ঠিক কী অবস্থা হয়, আরও একবার দেখে নিল ফুটবল-পৃথিবী।
ডিফেন্ডারকে তো রীতিমতো হাঁটু মুড়ে হাতজোড় করে বসে পড়়তে হল নেইমারের সামনে! অনুরোধ করতে হল, আর স্কিল না দেখানোর জন্য! কারণ নেইমারের স্কিল মানে ডিফেন্ডারদের দফারফা।
মজার এই ঘটনাটা বৃহস্পতিবার ঘটেছে সাও পাওলোয়। বিমান দুর্ঘটনায় আক্রান্ত চাপেকোয়েন্সের জন্য একটা চ্যারিটি ম্যাচে। যেখানে নেইমারের টিম খেলল আর এক ব্রাজিল তারকা রবিনহোর বেছে দেওয়া একাদশের সঙ্গে। ১৩-৯ গোলে যে ম্যাচ জিতল নেইমারের টিম। ব্রাজিল মহাতারকা একাই করলেন চারটে গোল। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে থেকে গেল ম্যাচের শুধু একটা মুহূর্ত।
যেখানে ডিফেন্ডার হাঁটু মুড়ে করুণাভিক্ষা করছেন নেইমারের!
ডিফেন্ডারের নাম— ফ্রেড। ম্যাচের প্রথম থেকেই অদ্ভুত সব স্কিলে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে ছাড়ছিলেন নেইমার। বিপক্ষ টিমকে নির্বাক করে একের পর এক গোলও করে যাচ্ছিলেন। আচমকাই দেখা যায়, ফ্রেড নামের ওই ডিফেন্ডার হাঁট মুড়ে বসে পড়েছেন নেইমারের সামনে। হাতজোড় করে করুণা-ভিক্ষা করছেন ব্রাজিলীয়র, যাতে তিনি আর স্কিল না দেখান। নেইমার অনুরোধ শুনব-শুনব করেও শুনলেন না। ফ্রেড তাঁকে হালকা নিয়ে বললে কী হবে, তিনি আর এক অবাক-স্কিলে ফ্রেডকে ফের কাটিয়ে বেরিয়ে যান। এবং ম্যাচ শেষে নেইমার যা বলেছেন, শুনলে তাঁর ভক্তদের আরও ভাল লাগবে। নেইমার আশা করছেন, নতুন বছরটা তাঁর হবে। তিনি ত্রিমুকুট জিততে চান। নেইমারকে জিজ্ঞেস করা হয়, এ বছর তিনি যে বেশি গোল পাননি তা কোনও ভাবে তাঁকে চিন্তায় রাখছে কি না? উত্তরে নেইমার বলেন, ‘‘এ বার আমি গোল কম পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু নিজের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। অনেক গোলের পিছনে আমার অবদান ছিল। আসল হল, টিমের কতটা কাজে লাগছি আমি। আর গোল আসবে। যে ভাবে এত দিন এসেছেন, সে ভাবেই আসবে।’’