জুটি: বিশ্বকাপে অতনু ও দীপিকার উপরে পদক জয়ের আশা ভারতের। —ফাইল চিত্র
মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া প্রথম পর্যায়ের তিরন্দাজি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসা দীপিকা কুমারি এবং অতনু দাস। সদ্য বিয়ে করেছেন ভারতের এই তারকা তিরন্দাজ জুটি। এ বার করোনার জন্য দীর্ঘদিন পরে প্রতিযোগিতায় ফিরে তাঁদের ভাল ফল করার পরীক্ষা।
মস্কোয় বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে ১৮ মাস কেটে গিয়েছে। করোনার জন্য ২০২০ মরসুমে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তার পরে এটিই তিরন্দাজিতে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। ভারতীয় তিরন্দাজদের আরও বেশি অপেক্ষা করতে হল। কারণ, ভারতীয় তিরন্দাজরা শেষ বার যোগ দিয়েছিলেন ২০১৯ সালে বার্লিনে চতুর্থ পর্যায়ের বিশ্বকাপে। জড়তা কাটিয়ে তাই ছন্দে ফেরাটাই ভারতীয় তিরন্দাজদের লক্ষ্য।
কোরিয়া, চিন, চিনা তাইপে এবং তুরস্কের মতো তিরন্দাজিতে শক্তিশালী দেশের অনুপস্থিতির সুবিধা নিতে নিশ্চিত ভাবে মরিয়া হয়ে থাকবেন অতনু, দীপিকারা। অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন নিশ্চিত করে ফেলার পরে অতনু, প্রবীণ যাদব এবং অভিজ্ঞ তরুণদীপ রাইয়ের দিকে নজর থাকবে এই বিশ্বকাপে। মহিলাদের ব্যক্তিগত বিভাগে প্রাক্তন বিশ্বসেরা দীপিকা যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তবে একই সঙ্গে এই বিভাগে অঙ্কিতা ভকত এবং কোমালিকা বারি প্যারিসে চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন পর্বে নামার আগে ছন্দে ফেরার লক্ষ্যে থাকবেন বিশ্বকাপে। অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কোমালিকা তাঁর প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন আগেই। তাঁর সামনে এ বার দীপিকার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসার পরীক্ষাও রয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন মেয়েদের দল এবং মিক্সড জুটি কম্পাউন্ড দলের অনুপস্থিতিতে পদক জিততে পারে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কম্পাউন্ড দলকে সরে দাঁড়াতে হয়। এশীয় চ্যাম্পিয়ন অভিষেক বর্মা এবং জ্যোতি সুরেখাকে শেষ মুহূর্তে নাম তুলে নিতে হয় তাঁদের কোচ গৌরব শর্মার করোনা পরীক্ষার ফল পজ়িটিভ আসায়। তাঁকে এর পরে সাই সোনপত শিবিরে নিভৃতবাসে রাখা হয়। এর পরের দিন জানা যায়, তাঁর দ্বিতীয় করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। “কম্পাউন্ড দলের না থাকাটা ভারতের এই প্রতিযোগিতায় পদক জয়ের আশায় নিশ্চিত ভাবে বড় ধাক্কা,” সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন এক আধিকারিক।