ছবি: এএফপি।
দীপক চাহারের প্রধান অস্ত্রটা কী?
আইপিএলে যাঁরা এই পেসারের বোলিং দেখেছেন, তাঁরা একবাক্যে একটা জিনিস স্বীকার করে নিয়েছেন। রাজস্থানের এই পেসারের আসল অস্ত্র হল সুইং। যে কারণে আইপিএলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি তাঁর হাতে নতুন বলটাই তুলে দিতেন।
মঙ্গলবার গায়ানায় সেই নতুন বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভাঙলেন দীপক। দিনের শেষে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার দীপক বলছিলেন, ‘‘পরিবেশটা সুইং বোলিংয়ের পক্ষে আদর্শ ছিল। সেই পরিবেশটা কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। আমার পরিকল্পনাটা পুরোপুরি খেটে গিয়েছে।’’ ঠিক কী পরিকল্পনা নিয়ে বল করতে এসেছিলেন? ম্যাচের পরে টিভি-তে দীপক বলেন, ‘‘আমি চেয়েছিলাম, বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানদের অফস্টাম্পের বাইরে বল করতে। কারণ ওরা মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে বেশি মারতে চায়।’’
আপনি মূলত সুইং বোলার। সাদা বল তো সে রকম সুইং করে না। সে ক্ষেত্রে কী করেন? প্রশ্নের জবাবে দীপক বলেন, ‘‘আমি প্রথম দু’তিনটে বলের মধ্যেই বুঝে যাই, সুইং পাব কি না। সুইং করলে তো ভালই। তখন দু’দিকেই বল সুইং করানোর চেষ্টা করি। বিশেষ করে ইনসুইং। কারণ বল ভিতরে নিয়ে এলে উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। না হলে পরিকল্পনা বদলাতে হয়।’’
আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন দীপক। এ দিন দীপকের বোলিং দেখার পরে সিএসকে-তে তাঁর সতীর্থ হরভজন সিংহ টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন এই পেসারকে। পাশাপাশি মন্তব্য করেছেন, দুরন্ত সুইংয়েই ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংকে ধাক্কা দিয়ে গিয়েছেন দীপক।
ম্যাচের পরে দীপকের প্রশংসা শোনা গিয়েছে অধিনায়ক বিরাট কোহালির মুখেও। তিনি বলেন, ‘‘দীপক অনেকটা ভুবনেশ্বরের মতো। খুব ভাল সুইং করাতে পারে। ভুবির অভিজ্ঞতাটা বেশি। তবে এ দিন নতুন বলে দারুণ কাজ করল দীপক।’’
ছোটবেলা থেকে বাবা লোকেন্দ্র সিংহ চাহারের কাছেই তৈরি হয়েছেন দীপক। তাঁর বাবা এক বার বলেছিলেন, নেটে শুধু নতুন বলেই ছেলেকে অনুশীলন করাতেন তিনি, ‘‘আমি চেয়েছিলাম ছেলে যেন নতুন বলে ভাল করে সুইং করানোটা শেখে। যে কারণে নেটে ওকে শুধু নতুন বলই দিতাম। কয়েক ওভার পুরনো হয়ে গেলেই বল বদলে ফেলতাম। যে কারণে বলটা ভাল সুইং করাতে পারে ও।’’