উচ্ছ্বাস: মেলবোর্নে সেঞ্চুরি করে ওয়ার্নারের লাফ। ছবি: গেটি ইমেজেস
সিরিজের প্রথম তিনটে টেস্ট জিতে অ্যাশেজ ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার দখলে। কিন্তু তা বলে বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন নাটকের কোনও কমতি ছিল না। ৯৯ রানে আউট হয়েও নো বলে বেঁচে যাওয়া। সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের উদ্দেশে ডেভিড ওয়ার্নারের গালিগালাজ। এবং অবশ্যই স্টিভ স্মিথ। এ সবই দেখে নিল মঙ্গলবারের মেলবোর্ন।
ওয়ার্নার ১০৩ করে আউট হয়ে যাওয়ার পরে স্মিথ ব্যাট করছেন ৬৫ রানে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান তিন উইকেটে ২৪৪। আজ, বুধবার যদি আর ৩৫ রান যোগ করতে পারেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক, তা হলে একটি বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হবেন তিনি। এর আগের তিনটে বক্সিং ডে টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছিলেন স্মিথ। ভারতের বিরুদ্ধে ১৯২, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৩৪ ন.আ. এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৬৫। অর্থাৎ মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টে তিনি শেষবার আউট হয়েছেন সেই ২০১৪ সালে।
চলতি সিরিজে ইংল্যান্ড বোলারদের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছেন স্মিথ। পাঁচ ইনিংসে ৪৯১ রান, গড় ১৬৩.৬৬। ওয়ার্নারের নাটকীয় সেঞ্চুরিও যেন কিছুটা পিছনে পড়ে গিয়েছে স্মিথের এই অবিশ্বাস্য ফর্মে। স্মিথের এই ইনিংস দেখার পরে আর. অশ্বিন টুইট করেন, ‘ভবিষ্যতে এমন একটা দিন আসবে, যখন টেস্ট শুরু হওয়ার আগে প্রতিপক্ষ দু’টো টিম নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নেবে স্মিথ কত রান করবে! পাগলের মতো ব্যাটিং।’ তাঁর অধিনায়ককে নিয়ে সতীর্থ ওয়ার্নারের বক্তব্য হল, ‘‘আমরা সবাই চাই, এই মুহূর্তে স্মিথ যে রকম ব্যাট করছে, তার অর্ধেক ব্যাটিং যেন আমরা করতে পারি। ও এখন তরমুজের মতো দেখছে বলটাকে। স্মিথকে দেখে মনে হচ্ছে, ব্যাটিংটা কত সহজ।’’
মঙ্গলবার অবশ্য ওয়ার্নারকে দেখেও একই কথা বলতে পারেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। ইংল্যান্ড বোলারদের শাসন করার পাশাপাশি ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের উদ্দেশে গালিগালাজ করতেও শোনা গিয়েছে ওয়ার্নারকে। ঘটনার সূত্রপাত ওয়ার্নার যখন ৯৯ রানে। ওই স্কোরে ইংরেজ পেসার টম কুরানের বল পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ আউট হন অস্ট্রেলীয় ওপেনার। কিন্তু আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ‘নো বল’ ডাকায় বেঁচে যান ওয়ার্নার। এর পরে সেঞ্চুরি করতেও সমস্যা হয়নি তাঁর। প্রচারমাধ্যমের খবর, ওই সময় উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টো-সহ কয়েক জন ইংরেজ ক্রিকেটার এসে ওয়ার্নারকে মনে করিয়ে দিয়ে যান, তিনি কতটা সৌভাগ্যবান। এর পরেই নাকি ওয়ার্নার পাল্টা অশ্রাব্য গালিগালাজ দিতে থাকেন ইংরেজ ক্রিকেটারদের।