পাশাপাশি: অস্ট্রেলিয়ার দুই বর্ষসেরা ক্রিকেটার এলিস পেরি এবং ওয়ার্নার। রবিবার মেলবোর্নে। গেটি ইমেজেস
অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে স্টিভ স্মিথকে এক ভোটে হারিয়ে পুরস্কার জিতে নিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আর মেলবোর্নে পুরস্কার মঞ্চে উঠে চোখের জল চাপতে, চাপতে বলে ফেলেন, ‘‘জানি, অতীতে আমি আপনাদের আস্থাভঙ্গ করেছি। তবে এই ভাবে ফিরে আসতে পেরে দারুণ লাগছে।’’
নির্বাসনের পরে ফিরে এসে সাফল্যের মুখই দেখেছেন ওয়ার্নার। যা নিয়ে এই বাঁ-হাতি ওপেনার বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছতে না পেরে আমরা হতাশ হয়েছি। আবার অন্য দিকে অ্যাশেজ ধরে রাখাটা ছিল দারুণ কৃতিত্বের। অ্যাশেজে আমি সাফল্য পাইনি, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তবে মাঠে ফেরার জন্য আমি সব সময় মুখিয়ে ছিলাম। রান পাওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত ছিলাম।’’ দৃশ্যত ভেঙে পড়া ওয়ার্নার আরও বলেন, ‘‘ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার সময় অত্যন্ত যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম। সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরে ভাল লাগছে।’’ নির্বাসনে থাকার সময় বাড়িতে ক্রিকেট খেলতে খেলতে কী ভাবে তাঁর মেয়েরা বিরাট কোহালির নাম বলে চিৎকার করে উঠত, তাও বলেছেন ওয়ার্নার।
ওয়ার্নার ছাড়াও পুরস্কার পেয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ (ওয়ান ডে বর্ষসেরা ক্রিকেটার, পুরুষ), এলিস পেরি (বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার)। গত কাল পেরি আবার সচিনকে বল করেছিলেন দাবালন ত্রানে আয়োজিত ম্যাচের ইনিংস বিরতিতে। মার্নাস লাবুশেন হয়েছেন পুরুষদের বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার। লাবুশেন আরও একটা ‘পুরস্কার’ জিতে নিয়েছেন। সচিন তেন্ডুলকরের প্রশংসা। দিন কয়েক আগে সচিনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কাকে বিশেষ ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নেবেন? সচিন তখন লাবুশেনের নাম করেছিলেন। উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর ফুটওয়ার্কের কথা। আপ্লুত লাবুশেন বলেছেন, ‘‘সচিন এই ভাবে প্রশংসা করায় আমি কৃতজ্ঞ।’’
লাবুশেনের ফুটওয়ার্ক নিয়ে ক্রিকেট কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘‘লর্ডসে অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট দেখেছিলাম। স্মিথ আহত হওয়ার পরে লাবুশেন নামে। তখন ওর ব্যাটিং দেখেছিলাম। ফুটওয়ার্ক নিঁখুত।’’ সচিন এও বলেন, ‘‘জোফ্রা আর্চারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মেরেছিল লাবুশেন। ১৫ মিনিট ওর ব্যাটিং দেখি। মনে হয়েছিল, এই ছেলেটার মধ্যে বিশেষ কিছু আছে।’’